মেট্রোর ফুটপাথে টিম টিম আলোতে পড়াশুনা, ফেসবুকে ১৩ বছরের কিশোরের 'সংগ্রামের কথা' পোস্ট করতেই এগিয়ে এল সাহায্যের হাত
মন দিয়ে খাতায় স্কুলের হোম ওয়ার্ক করছে ১৩ বছরের কিশোর। ব্যাস্ত নয়ডা শহরের মেট্রো স্টেশনের ফুটপাথে ওর সঙ্গী কেবল মাত্র একটি ওজন মাপার যন্ত্র, আর কতগুলি খাতা ও বই। ল্যাম্প পোষ্টের টিম টিম করা আলোতে অবিরাম লিখেই চলেছে ছেলেটি। মাঝে মাঝে পথ চলতি মানুষ ওজন মাপার যন্ত্রে ওজন মেপে নিয়ে ওর হাতে দিয়ে যাচ্ছে দু এক টাকা। রোজগার বলতে এইটুকুই। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে সবাই একবার ওর দিকে তাকিয়ে যাচ্ছে। তাদেরই মধ্যে একজন, ফুটপাথে বসে থাকা ওই বালকের ছবি তুলে পোস্ট করে দেন ফেসবুকে। সঙ্গে লেখা ছিল বালকের রোজনামচার কথা।
ওয়েব ডেস্ক: মন দিয়ে খাতায় স্কুলের হোম ওয়ার্ক করছে ১৩ বছরের কিশোর। ব্যাস্ত নয়ডা শহরের মেট্রো স্টেশনের ফুটপাথে ওর সঙ্গী কেবল মাত্র একটি ওজন মাপার যন্ত্র, আর কতগুলি খাতা ও বই। ল্যাম্প পোষ্টের টিম টিম করা আলোতে অবিরাম লিখেই চলেছে ছেলেটি। মাঝে মাঝে পথ চলতি মানুষ ওজন মাপার যন্ত্রে ওজন মেপে নিয়ে ওর হাতে দিয়ে যাচ্ছে দু এক টাকা। রোজগার বলতে এইটুকুই। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে সবাই একবার ওর দিকে তাকিয়ে যাচ্ছে। তাদেরই মধ্যে একজন, ফুটপাথে বসে থাকা ওই বালকের ছবি তুলে পোস্ট করে দেন ফেসবুকে। সঙ্গে লেখা ছিল বালকের রোজনামচার কথা।
ফেসবুকে হাজার হাজার শেয়ার আর লাইক, ১৩ বছরের কিশোরের জীবন সংগ্রামের কথা হু হু ছড়িয়ে পরে এক প্রোফাইল থেকে অন্য প্রোফাইলে। জাগরিত হয় 'সোশ্যাল সমাজের বিবেক'। এগিয়ে আসে সাহায্যের হাত। পড়াশুনার দায়ভার নিতে চেয়ে এগিয়ে আসে সমাজবাদী পার্টিও। নয়ডা সমাজবাদী পার্টির যুবশাখা ওই বালকের পড়াশুনার যাবতীয় খরচ বহনের প্রতিশ্রুতিও দেয়।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ১৩ বছরের ওই বালক নয়ডা সেক্টর ৫১ এর বাসিন্দা। নাম হরেন্দ্র সিং চৌহান। হরেন্দ্রের পরিবার ৫ জনের। একটি এক কামরার ঘরেই বড় হয়ে ওঠা। পরাশুনা করেন ক্লাস নাইনে। পরিবারের আর্থিক অভাবে স্কুলে যাওয়ার জন্যও পয়সা জোটে না। বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার হেটেই স্কুলে যায় হরেন্দ্রে। সকাল ৬ টায় ঘুম থেকে উঠে বাড়ির কাজ কর্ম সেরে স্কুল। বাড়ি ফিরেই ওজনের মেশিন নিয়ে মেট্রো স্টেশনের পথে যাত্রা। সন্ধে ৭টা থেকে ৯টা ওখানেই পড়াশুনা সেরে আবার বাড়ি ফেরা। এভাবেই জীবন চলছে তাঁর।
হরেন্দ্র, নিজের জীবন সংগ্রাম নিয়ে বলছেন, "আমি কোনও মূল্যেই হার মানব না। আমি আমার গুরুজনদের থেকেই শিখেছি, হার না মেনে কীভাবে জিততে হয়"।