কোমায় সুখরাম, দাবি তাঁর কৌঁসুলির

আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও গতকাল আত্মসমর্পণ করেননি তিনি। এদিন ১৯৯৩ সালের দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুখরামের আইনজীবী দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রমেশ শর্মাকে জানালেন, তাঁর মক্কেল গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি।

Updated By: Nov 19, 2011, 04:27 PM IST

আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও গতকাল আত্মসমর্পণ করেননি তিনি। এদিন ১৯৯৩ সালের দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুখরামের আইনজীবী দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রমেশ শর্মাকে জানালেন, তাঁর মক্কেল গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। প্রায় কোমায় চলে গিয়েছেন। তাই গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেননি তিনি।
২০০২ সালে এই দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা হয়েছিল তিন বার লোকসভা ও পাঁচ বার বিধানসভা ভোটে জয়ী হিমাচল প্রদেশের ৮৫ বছরের প্রবীণ কংগ্রেস নেতার। নরসীমা রাও ক্যাবিনেটের মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর দেওয়া ওই বরাতের ফলে রাজকোষে ১৬৬ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছিল বলে প্রমাণিত হয় আদালতে। প্রাথমিক ভাবে জামিন পেলেও পরে তা নাকচ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টেও তাঁর আর্জি ব্যর্থ হয়। সুখরাম না এলেও গতকাল মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত ,রুনু ঘোষ এবং পি রাম রাও আত্মসমর্পণ করেন আদালতে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর ১৯৯৬ সালের অন্য একটি টেলিকম কেলেঙ্কারির মামলায় দোষী সাব্যস্ত নরসিংহ রাও ক্যাবিনেটের টেলি-যোগাযোগমন্ত্রী সুখরামকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক আর পি পাণ্ডে। এর আগে ২০০৯ সালে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন সুখরাম।

.