কেন্দ্রের তীব্র অমত অগ্রাহ্য করে স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে রাজ্য গুলির মতামত চাইল শীর্ষ আদালত
নতুন দিল্লি:
ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে রাজ্যগুলিকে নিজেদের মতামত জানানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এজন্য আট সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। সর্বোচ্চ আদালতে এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল এর তীব্র বিরোধিতা করেন। ইচ্ছামৃত্যুর স্বপক্ষে দাবি, অন্যদিকে বিরোধিতা এনিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। বিশ্বের বহু দেশে হয়েছে আন্দোলন। এবার ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে রাজ্যগুলির মতামত জানতে চেয়ে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার একটি এনজিওর দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আরএম লোধার নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রত্যেকটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আট সপ্তাহের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমি বেশকিছু দেশে ইতিমধ্যেই আইনি স্বীকৃতি পেয়েছে স্বেচ্ছামৃত্যু। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন দেশে ইচ্ছামৃত্যু স্বীকৃত।
নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম,লুক্সেমবার্গ,সুইজারল্যান্ড,জার্মানি,আলবেনিয়া,কলম্বিয়া,জাপান,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন,নিউ মেক্সিকো,মন্টানায়। ইচ্ছামৃত্যুর স্বীকৃতি ছিল প্রাচীন গ্রিস, ও রোমে।
স্বেচ্ছামৃত্যুকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কমন কজ নামে একটি এমজিও। বিষয়টির আইনি স্বীকৃতি প্রদান সুপ্রিম কোর্টের আওতাভুক্ত নয় বলে দাবি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগি। শীর্ষ আদালতে তিনি জানান, স্বেচ্ছামৃত্যুকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে কিনা তা সংসদে সিদ্ধান্ত হবে। তবে কেন্দ্র বিষয়টিকে আত্মহত্যার সামিল মনে করে বলেও জানান তিনি। এবিষয়ে শীর্ষ আদালতকে সহযোগিতা করার জন্য প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল টি আর অন্ধারুজিনাকে দায়িত্ব দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধিন সাংবিধাধনিক বেঞ্চ।