আন্দোলনের অধিকার থাকলেও তা কারও অসুবিধের কারণ হতে পারে না: সুপ্রিম কোর্ট
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ও অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল কে এম নটরাজ দাবি করেন, শাহিনবাগে মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা একেবারেই বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে রাস্তা অবরোধ হঠাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট। আড়াই মাসেরও বেশি আন্দোলন চালার পর কথাবার্তার একটা পথ খুলে দিলে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন-নির্ধারিত সময়ে বকেয়া না মেটানোয় শাস্তির মুখে Vodafone-Idea, Bharti Airtel
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিশিষ্ট আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়েকে মধ্যস্থতা করার ভার দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি এস কে কৌল ও বিচারপতি কে এম যোসেফের বেঞ্চ শাহিনবাগে রাস্তা অবরোধ তোলার জন্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথাবার্তা চালানোর ভার দেন।
আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা হবে পথচারীদের সুবিধের জন্য অন্য কোথাও ওই আন্দোলন করা যায় কিনা। এনিয়ে সঞ্জয় হেগড়েকে সহায়তা করবেন, প্রাক্তন তথ্য কমিশনার ওয়াজহাত হাবিবুল্লাহ।
রবিবার সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে, মানুষের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তার জন্য মানুষের যাতায়াতের পথে বন্ধ হয়ে যেতে পারে না। নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কিছু মানুষের জোরাল যুক্তি রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, আন্দোলনে জন্য রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া যায় কিনা। সব জিনিসের একটা সীমা রয়েছে। আপনারা প্রতিবাদ করতে চান। কোনও সমস্যা নেই। কিনতু কাল সমাজের অন্য এক অংশ যদি শহরের অন্য কোথায় আন্দোলন করে তাহলে যান চলাচলে সমস্যা হবে বইকি!
আরও পড়ুন-ফরাক্কা সেতুর নকশাতে ভুল জেনেও কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ ছিল, স্বীকারোক্তি সাইট ইনচার্জের
আন্দোলনকারীদের আইনজীবী সওয়াল করেন, শাহিনবাগে অ্যাম্বুল্যান্স ও জরুরি যানবাহন চলার জন্য রাস্তা খোলা রয়েছে। অন্যদিকে, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ও অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল কে এম নটরাজ দাবি করেন, শাহিনবাগে মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা একেবারেই বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
দুপক্ষের যুক্তি শুনে বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, এনিয়ে দিল্লি পুলিসের হলফনামা দিয়ে জানানো উচিত।