উদ্ধারকাজ শেষ, থানেতে মৃত ৭২
থানেতে বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার ৩৯ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। আজ সকালেও এক মহিলাকে ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। কাল রাতে আরও চারটি দেহ উদ্ধার হয় ভেঙে পড়া বাড়িটি থেকে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২। মৃতদের মধ্যে ২২ জন শিশু। পুলিস জানিয়েছে আহতের সংখ্যা ৬২।
থানেতে বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার ৩৯ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। আজ সকালেও এক মহিলাকে ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তবে প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে ধংসস্তুপে আটক থেকে জীবিত উদ্ধার করা হল দু'টি শিশুকে। তাঁদের মধ্যে একজনের বয়স ৪ বছর। অপরজন ১০ মাসের। কাল রাতে আরও চারটি দেহ উদ্ধার হয় ভেঙে পড়া বাড়িটি থেকে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২। মৃতদের মধ্যে ২২ জন শিশু। পুলিস জানিয়েছে আহতের সংখ্যা ৬২।
বেআইনি ভাবেই থানের ওই বহুতল নির্মানের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। গোটা ঘটনায় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নির্মানের ছাড়পত্র দেওয়াতে ডেপুটি মিউনিসিপাল কমিশনর ও পুলিসের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়ছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, থানের শিল ফাটা অঞ্চলে একটি সাততলা বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। হঠাত্ই সেটি ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েই অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারি জেলাশাসক মনোজ গোহাড। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান জেলাশাসক পি ভেলারসু এবং পুর কমিশনার আর এ রাজীব।
উদ্ধারকাজে দমকল ছাড়াও তলব করা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। তাঁদের তত্ত্বাবোধানেই চলছে উদ্ধারকাজ। তখনই ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে একটি শিশুকে উদ্ধার করেন দমকলকর্মীরা। ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও কেউ আটকে রয়েছেন কিনা, সেটা জানতে তল্লাসি অভিযান চালিয়ে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের অভিযোগ, বহুতলটি বেআইনি ভাবে তৈরি হচ্ছিল।