Fake SBI Branch | Chattisgrah: মাথায় টুপি পড়িয়ে দেদার ব্যবসা এসবিআইয়ের ভুয়ো শাখায়, ১০ দিনের মধ্যেই...

Fake SBI Branch: প্রায় ১০ দিন আগে সেই গ্রামেই খুলেছিল স্টেট ব্যাংকের একটি শাখা। একেবারে নতুন আসবাবপত্র, ব্যাংক কাউন্টার, ব্যাংক সংক্রান্ত কাগজপত্র, সবই ছিল সেখানে। এমনকি শুরুতেই ৬ জন কর্মী সেখানে...

Updated By: Oct 3, 2024, 04:33 PM IST
Fake SBI Branch | Chattisgrah: মাথায় টুপি পড়িয়ে দেদার ব্যবসা এসবিআইয়ের ভুয়ো শাখায়, ১০ দিনের মধ্যেই...
ফাইল ছবি

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এলাকায়  রাতারাতি গড়ে উঠল স্টেট ব্যাংকের শাখা। সেই ব্যাংকে এলাকার ছেলে-মেয়েদের দেওয়া হচ্ছে চাকরিও। এলাকার লোকজন লাইন দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলছেন, টাকা জমা করছেন। ব্যাংক থেকে সহজে মিলবে লোন, এই আশায় বেশ খুশি এলাকার মানুষজন। কিন্তু এই খুশি বেশি দিন দেখা গেল না। মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই বেরিয়ে এল ঝুলি থেকে বিড়াল। দেখা গেল পুরো ব্যাংকের শাখাটিই ফেক। সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলেই প্রতিনিয়ত দেখা যায় ব্যাংক ট্রানজাকশন ফ্রডের ঘটনা, ফেক চাকরি দেওয়ার ঘটনা। কিন্তু এ ঘটনা যেন কোনও সিনেমার চিত্রনাট্য।

আরও পড়ুন, Doctor Shot Dead: হাড়হিম দিল্লি‌! হাসপাতালের মধ্যেই 'অন ডিউটি' ডাক্তারকে গুলি করে খুন...

ছত্তিসগড়ের রায়পুর থেকে ২৫০ কিমি দূরে শক্তি জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম ছাপোরা। প্রায় ১০ দিন আগে সেই গ্রামেই খুলেছিল স্টেট ব্যাংকের একটি শাখা। একেবারে নতুন আসবাবপত্র, ব্যাংক কাউন্টার, ব্যাংক সংক্রান্ত কাগজপত্র, সবই ছিল সেখানে। এমনকি শুরুতেই ৬ জন কর্মী সেখানে কাজ করছিলেন। গ্রামবাসীরা নতুন ব্যাংকের শাখা ভেবে সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা লেনদেন শুরু করেন। সেখানকার কর্মীরাও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে চাকরি করছেন ভেবে বেজায় খুশি। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। এমন সময় এলাকার স্টেট ব্যাংকের ডাবরা শাখার ম্যানেজারের সন্দেহর পর, ২৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় পুলিস আধিকারিক এবং স্টেট ব্যাংকের কিছু আধিকারিক সেখানে হানা দেয়। তাঁরা সেখানে গিয়ে উদ্ধার করেন এটি একটি 'ফেক শাখা'। মাথায় হাত পড়ে যায় স্থানীয়দের। যারা সেখানে কাজ করছিলেন  তারাও অবাক।

কারণ! সেখানে কাজ করার জন্য কেউ ২ লাখ টাকা দিয়েছেন তো কেউ ৬ লাখ। মাসিক ৩০০০০ টাকা তাঁরা বেতন পাবেন এমনটাও তাঁদের বলা হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারও। সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বলে তাঁদের থেকে এই টাকা আদায় করে এই কেলেঙ্কারির মূল পরিকল্পনাকারী। জানা গিয়েছে, ফেক শাখার জন্য ওই জায়গাটি প্রতি মাসে ৭০০০ টাকার বিনিময়ে ভাড়ায় নিয়েছিল ওই গ্রামেরই টশ চন্দ্রের কাছে। ভুক্তভোগীরা এখন শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, আইনি ঝামেলারও সম্মুখীন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ফেক অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য গয়না বন্ধক রেখেছিলেন বা ঋণ নিয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন, Ambergris: সাগরে ভাসা সোনা! তিমির বমি পেলে বেচে দিলেই আপনার সারা জীবন চলে যাবে...

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.