Rapid Rail: বুলেটের পরে এবার র্যাপিড রেল, মাত্র ১ ঘণ্টায় পৌছান দিল্লি থেকে মেরঠ
বুলেট ট্রেনের পরে এবার র্যাপিড ড়েল। নতুন এই ব্যবস্থায় মাত্র এক ঘণ্টায় দিল্লি থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে মেরঠ। অত্যাধুনিক এই রেলের কোচ তৈরি হচ্ছে ভারতেই। এই রেলের ভেতরে থাকবে আধুনিক সব ব্যবস্থা। যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে চার্জিং পয়েন্ট, স্ট্রেচার থেকে শুরু করে দরজায় বসানো হবে সেন্সর। বিমানের মতন বসার জায়গা তৈরি করা হবে এই রেলের কোচে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতের প্রথম আঞ্চলিক রেল দিল্লি থেকে মিরাটের যাত্রা আরও দ্রুত এবং সহজ করেবে। দিল্লি এবং মিরাটের মধ্যে দ্রুত রেল পরিবহণ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। আরআরটিএস প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের রাজধানী অঞ্চলের অধীনে থাকা বেশ কয়েকটি এলাকাকে সংযুক্ত করার একটি পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবেন। এই ট্রেনে, যাত্রীরা এক ঘণ্টায় দিল্লি থেকে মিরাট পৌঁছতে পারবেন। ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে চলবে এই ট্রেন।
দিল্লি থেকে মিরাটের দুরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। সাধারণত দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগে এই দুরত্ব অতিক্রম করতে। তবে আঞ্চলিক রেলের সাহায্যে এখন থেকে এই যাত্রা এক ঘন্টায় পূর্ণ করা সম্ভব হবে। ট্রেনটি অন্যান্য সাধারণ ট্রেন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে এবং এটি দেখতে অনেকটা মেট্রো রেকের মতন হবে। এর সঙ্গে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যও যুক্ত করা হবে।
NCRTC (ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন) দেশে প্রথম RRTS তৈরি করছে। এটি একটি উচ্চ গতি, উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি সম্পন্ন আঞ্চলিক কম্পিউটার ট্রানজিট সিস্টেম যুক্ত রেল ব্যবস্থা। প্রায় ৮২ কিলোমিটারের এই উচ্চগতির রেল করিডরের কাজ ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মোট ৪০টি ট্রেনের জন্য ২১০টি কোচ তৈরি করা হবে। মেক ইন ইন্ডিয়ার অধীনে, RRTS-এর জন্য সব ট্রেন ভারতেই তৈরি করা হচ্ছে।
ট্রেনের দরজায় সেন্সর থেকে শুরু করে চার্জিং পয়েন্ট এবং বসার জন্য বিশেষ কুশনযুক্ত সোফাও থাকবে। এই ট্রেনে যাত্রীরা আরামে ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন চার্জ করতে পারবেন। এর পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য ওয়াইফাই পরিষেবাও থাকবে। ট্রেনের দরজায় সেন্সর বসানোর কারণে, দরজা যাত্রীদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলবে। যতক্ষণ তারা গেটের কাছাকাছি থাকবেন ততক্ষণ দরজা বন্ধ হবে না। প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সুবিধা থাকবে এবং স্ট্রেচারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
এছাড়াও, দিল্লির সারাই কালে খান থেকে শুরু করে মিরাটের মোদিপুরম পর্যন্ত মোট ২৫টি স্টেশন থাকবে। ট্রেনের কোচে বিমানের মতো বসার জায়গা থাকবে। এর পাশাপাশি স্ট্যান্ডিং স্পেস, লাগেজ রাখার আলাদা জায়গাও পাওয়া যাবে। এই রেলে একবারে প্রায় ১৫০০ যাত্রী এবং এই আঞ্চলিক রেলের মাধ্যমে প্রতিদিন ৪ লক্ষ যাত্রীর যাওয়া আসায় সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Tribal Sisters Death: আদিবাসী পরিবারের হাড়হিম দুঃস্বপ্ন, দড়ির ফাঁসে ঝুলছে ৩ বোনের দেহ!
আরও পড়ুন: Opposition MPs Dharna: সংসদ চত্বরে লম্বা ধরনায় বিরোধী সংসদরা; তাঁবুতেই খাওয়াদাওয়া, কী থাকছে মেনুতে?
এই আঞ্চলিক ট্রেনে প্রথমে ছয়টি কোচ থাকবে। পরে এই সংখ্যা বাড়িয়ে নয়টি কোচ করা হবে। এর মধ্যে একটি প্রিমিয়াম কোচ এবং চারটি স্ট্যান্ডার্ড কোচ থাকবে। এরসঙ্গে একটি কোচ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এই ট্রেনটি গুজরাটের সাভালিতে তৈরি হচ্ছে। এটি তৈরি করেছে বহুজাতিক কোম্পানি আলস্টম।
এই ট্রেনের কোচের শেষ বগিতে স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি কোনও রোগীকে মিরাট থেকে দিল্লিতে রেফার করা হয়, তবে এর জন্য একটি পৃথক কোচের ব্যবস্থা করা হবে যাতে রোগীকে কম খরচে নিয়ে যাওয়া যায়। এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সিট তৈরি করা হচ্ছে, যা কাজে না লাগলে ভাঁজ করা যাবে।