Supreme Court: 'শাসক গণমাধ্যমের গলা চেপে ধরতে পারে না'! 'ফ্রিডম অফ প্রেস' প্রশ্নে কড়া শীর্ষ আদালত
Supreme Court on Media's Freedom: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কি আছে? থাকলে কতটা? বিতর্কের সূত্রপাত একটি মালয়ালাম নিউজ চ্যানেলকে ঘিরে। ২০২০ সালের একটি ঘটনার জেরে চ্যানেলটিকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য 'ব্যান' করে দেওয়া হয়েছিল। সেটা কি ঠিক হয়েছিল? না, হয়নি। শাসকের ঔদ্ধত্যের কড়া সমালোচনা করে সেটাই বলল শীর্ষ আদালত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুরনো বিতর্ক নতুন মোড়কে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কি আছে? থাকলে কতটা? কে রক্ষা করবে এই স্বাধীনতা? ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সব পুরনো বিতর্কই আবার চূড়ান্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল দেশের শীর্ষ আদালতের এক পর্যবেক্ষণে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়-পরিচালিত একটি বেঞ্চ আজ বুধবার পরিষ্কার বলে দেয়, কোনও গণমাধ্যম সংস্থা যদি সরকারের কাজের সমালোচক হয়, তবে সরকার বা শাসক তাকে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী তকমায় দাগিয়ে দিতে পারে না। কেননা, তাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশ তার মাটিতে বসবাসকারী মানুষজনকে স্বাধীন ভাবে নিজের মত বা ভাবনা ব্যক্ত করার যে অধিকার দেয়, তা ক্ষুণ্ণ হয়।
কেন হঠাৎ এই প্রসঙ্গ উঠে এল?
আরও পড়ুন: Arunachal Pradesh: অরুণাচলের বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন নাম দিয়ে চিন বদলে দিল ভারতের মানচিত্রই!
নতুন করে এই বিতর্কের সূত্রপাত একটি মালয়ালাম নিউজ চ্যানেলকে ঘিরে। মালয়ালাম নিউজ চ্যানেল 'মিডিয়াওয়ানে'র প্রতি জাতীয় সুরক্ষা ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ এনেছিল দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সংবাদমাধ্যমটিকে জাতীয় সুরক্ষা ক্ষুণ্ণ করার 'অপরাধে'ই 'সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স' দিতে অস্বীকার করে কেন্দ্র। যা নিয়ে বিতর্কের সূচনা। আর তারই ফলশ্রুতি সুপ্রিম কোর্টের এই মত। ২০২০ সালে 'মিডিয়াওয়ান' 'দিল্লি ভায়োলেন্স'-এর যে কাভারেজ করেছিল তা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল কেন্দ্র। সরকার বলেছিল, চ্যানেলটি ১৯৯৪ সালের 'কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক' আইন ভঙ্গ করেছে। শুধু আপত্তি করাই নয়, চ্যানেলটিকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধও করে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: India GDP: মোদী সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ! জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে খারাপ খবর দিল বিশ্বব্যাঙ্ক
অবধারিত ভাবে চ্যানেলটি আদালতে গিয়েছিল। প্রথমে হাইকোর্টে, পরে সেখান থেকে সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্ট বলেছিল, কেন্দ্রের এই 'ব্যান' যুক্তিযুক্ত, পরে প্রাথমিক ভাবে সুপ্রিম কোর্টও সেই পর্যবেক্ষণই বজায় রেখেছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক পর্যালোচনায় এই ব্যতিক্রমী মন্তব্য করল শীর্ষ আদালত।
বিষয়টির পর্যালোচনা করতে গিয়ে বুধবার সেই 'ব্যান' বাতিল করে শীর্ষ আদালত পরিষ্কার করে বলে দেয়, গণমাধ্যম যদি ক্ষমতার চোখে চোখ রাখতে চায় তবে তার মধ্যে কোনও অন্যায় নেই। কেননা, গণমাধ্যমের কাজই হল স্বাধীনভাবে সত্য ব্যক্ত করা। সত্যের সন্ধানে সে অনেক কিছু করতে পারে। রাষ্ট্র কখনও গণমাধ্যমের উপর কোনও ধরনের নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে না, তার কণ্ঠরোধও করতে পারে না, তাতে গণতন্ত্রের ও গণমাধ্যমের বাক্ স্বাধীনতার ধারণাটাই টোল খায়।