আরুষি-হেমরাজ হত্যা মামলা: এক নজরে

১৬ মে, ২০০৮: নয়ডার ডেন্টিস্ট দম্পতি রাজেশ ও নূপুর তলোয়ারের কন্যা আরুষি তলোয়ারের মৃতদেহ তার বেডরুম থেকেই উদ্ধার হয়। আরুষির গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে তলোয়ারদের বাড়ির পরিচারক নিরুদ্দিষ্ট হেমরাজকে খুনি হিসাবে সন্দেহ করা হয়।

Updated By: Nov 25, 2013, 05:13 PM IST

১৬ মে, ২০০৮: নয়ডার ডেন্টিস্ট দম্পতি রাজেশ ও নূপুর তলোয়ারের কন্যা আরুষি তলোয়ারের মৃতদেহ তার বেডরুম থেকেই উদ্ধার হয়। আরুষির গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে তলোয়ারদের বাড়ির পরিচারক নিরুদ্দিষ্ট হেমরাজকে খুনি হিসাবে সন্দেহ করা হয়।
১৭ মে: তলোয়ারদের বাড়ির ছাদ থেকে হেমরাজের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
১৮ মে: পুলিস জানায় পরিচিত কেউই আরুষির খুনের সঙ্গে জড়িত। পুলিস আরও জানায় খুনি শল্যবিদ্যায় পারদর্শী।
২৩ মে: আরুষি ও হেমরাজ জোড়া খুনের মামলায় গ্রেফতার হন আরুষির বাবা রাজেশ তলোয়ার।
৩১ মে: সিবিআই এই জোড়া হত্যা মামলার তদন্তের দায় নেয়।
১৩ জুন: রাজেশ তলোয়ারের কমপাউন্ডার কৃষ্ণাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর দশদিন পর তলোয়ার দম্পতির বন্ধু তথা প্রতিবেশী বিজয় মণ্ডলের পরিচারক রাজ কুমার গ্রেফতার হয়।
১২জুলাই: গাজিয়াবাদ আদালতে রাজেশ তলোয়ারের বিপক্ষে কোনও রকম প্রমাণ পেশ করতে ব্যর্থ হয় সিবিআই। আদালতে রাজেশের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়।
৫ জানুয়ারি, ২০১০: তলোয়ার দম্পতির ন্যাক্রো টেস্টের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই।
২৯ ডিসেম্বর: আরুষি হত্যা মামলার ক্লোসার রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। রিপোর্টে রাজেশ কে মূল সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করলেও তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয় সিবিআই।
২৫ জানুয়ারি, ২০১১: গাজিয়াবাদ আদালত চত্বরে রাজেশ তলোয়ারের উপর আক্রমণ হয়।
৯ ফেব্রুয়ারি: গাজিয়াবাদের বিশেষ আদালত সিবিআই-এর ক্লোসার রিপোর্ট খারিজ করে দেয়। আরুষি-হেমরাজ হত্যা মামলায় আরুষির মা-বাবার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ওই বিশেষ আদালত। তরোয়াল দম্পতির বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার অভিযোগও আনা হয়। গাজিয়াবাদে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত নূপুর ও রাজেশ তলোয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির না হওয়ার জন্য জামিনযোগ্য ওয়ারেন্ট জারি করে।
১৪ মার্চ, ২০১২: আদালতে সিবিআই রাজেশ তলোয়ারের জামিনের বিপক্ষে সওয়াল করে।
৩০ এপ্রিল: নূপুর তলোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।
৩ মে: সেশন কোর্ট নূপুর তলোয়ারের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।
২৫ মে: গাজিয়াবাদ আদালতে রাজেশ ও নূপুর তলোয়ারের বিরুদ্ধে খুন, তথ্যপ্রমাণ ধ্বংস ও ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করা হয়।
২৫ সেপ্টেম্বর: সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে নূপুর তলোয়ার জামিনে মুক্তি পান।
এপ্রিল ২০১৩: আদালতে সিবিআই জানায় আরুষি ও হেমরাজকে তলোয়ার দম্পতিই খুন করেছে। সিবিআই জানায় হেমরাজ ও আরুষিকে আপত্তিজনক অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
৩ মে: আভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী একটি বিশেষ আদালতে সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর অরুণ কুমার সহ ১৪জনকে সাক্ষী হিসাবে সমন জানাবার আবেদন করেন। সিবিআই এই আবেদনের বিরোধিতা করে।
৬ মে: ট্রায়াল কোর্ট তলোয়ার দম্পতির কৌঁসুলীর আবেদন খারিজ করে দেয়। এর সঙ্গেই আদালত নূপুর ও রাজেশ তলোয়ারের বক্তব্য রেকর্ড করারা নির্দেশ দেয়।
১৮ অক্টোবর: সিবিআই তদন্ত শেষ জানায়। জানায় তলোয়ার দম্পতি তদন্ত বিপথে চালিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
১২ নভেম্বর: আদালত জানায় ২৫ তারিখ এই মামলার রায় ঘোষিত হবে।
২৫ নভেম্বর: আদালত আরুষি ও হেমরাজ জোড়া খুনের মামলার রায় ঘোষণা করল। হত্যার দায় আরুষির বাবা-মা রাজেশ ও নূপুর তলোয়ারকে এই জোড়া খুনের দায়ে দোষী সব্যস্ত করল।

.