কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা তৃণমূলের
নেত্রীর নির্দেশ মেনে আজ কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল মন্ত্রীরা। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তাঁর হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন তৃণমূলের ৬ মন্ত্রী। এররপরই রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাত্রা করেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। ইউপিএ টু সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতিকে জানাবেন তাঁরা। তবে যাচ্ছেন না দীনেশ ত্রিবেদী।
নেত্রীর নির্দেশ মেনে আজ কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের ৬ মন্ত্রী। আজ বিকেল ৪ নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তাঁর হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন মুকুল রায়, সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এরপরই রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাত্রা করেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। ইউপিএ টু সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতিকে জানাবেন তাঁরা। তবে যাচ্ছেন না দীনেশ ত্রিবেদী। তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন প্রত্যাহার করায় কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন মুকুল রায়। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে তাঁর অভিযোগ, সংসদ এড়াতেই তড়িঘড়ি এফডিআই কার্যকর করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত অনৈতিক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা ছিল শেষ মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রী বা সোনিয়া মমতাকে ফোনে হয়তো বরফ গলতে পারে। কিন্তু এবার আর মমতার চাপের কাছে পিছু হটতে চায় না কংগ্রেস। আর তাই মঙ্গলবার দলের কোর কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতো পদত্যাগ করছেন মুকুল রায়রা। এফডিআই নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালের ১৭ডিসেম্বর তত্কালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় লোকসভায়, খুচরো ব্যবসায়ে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছনো না পর্যন্ত সরকার এফডিআই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সেই বিবৃতি আজ ফেসবুকে পোস্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার তার ঘোষিত অবস্থান থেকে সরে এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তকে 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে মন্তব্য করেছেন। ১৯ জন সাংসদ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দ্বিতীয় ইউপিএ জোট থকে বেরিয়ে আসার পর কতটা সঙ্কটে দিল্লির রাজনীতি? তৃণমূল সঙ্গ ছারলেও মুলায়ম সিংকে পাশে পাওয়ার পক্ষে আশাবাদী কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী পবন কুমার বনসল এদিন সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে কোনও সমস্যা হবে না বলে দাবি করেছেন। সরকার টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় ৫৪৫টি আসন তাঁদের রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই দুই মন্ত্রী। তৃণমূলের বিদায়ে সরকারের অবস্থান সংখ্যালঘু হয়ে পরবে, একথা মানতে রাজি নন খুরশিদ। তিনি বলেন, "বেশকিছু রাজনৈতিক দলের সমর্থনে আমরা সংখ্যালঘু সরকার নই।"
বৃহস্পতিবারই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন শিশির অধিকারী, সুলতান আহমেদরা। আজ গেলেন মুকুল রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সমর্থন প্রত্যাহার ও মন্ত্রিসভা ছেড়ে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতেই কংগ্রেস-তৃণমূলের তিনবছরের শরিকি সম্পর্কের ইতি ঘটল আজই।