তদন্তে স্বচ্ছতা রাখতেই ছুটি দেওয়া হয়েছে অলোক বর্মাকে: অরুণ জেটলি

সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখতে পাচ্ছেন বিরোধীরা। কেউ কেউ রাফালের যোগও টেনে আনছেন। এ দিন অরুণ জেটলি বলেন, সিবিআইয়ের এই বিতর্ক দুর্ভাগ্যজনক

Updated By: Oct 24, 2018, 03:00 PM IST
তদন্তে স্বচ্ছতা রাখতেই ছুটি দেওয়া হয়েছে অলোক বর্মাকে: অরুণ জেটলি
ছবি- এএনআই

নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআইয়ের অখণ্ডতা বজায় রাখতে দুর্নীতির তদন্ত করবে চিফ ভিজিল্যান্স কমিশন। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। যখনই প্রধানমন্ত্রীর দফতর কোনও বিতর্কের মুখে পড়েছে, সম্প্রতি দেখা গিয়েছে সামনে এসে অরুণ জেটলিকেই হাল ধরতে। বুধবার ভোর রাতে সিবিআইয়ের দুই কর্তাকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নেওয়ার পর  এ দিন স্বভাবতই সাংবাদিক বৈঠকে দেখা গেল অরুণ জেটলিকে। পাশে ছিলেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।

আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ অলোক বর্মা, এ বার সিবিআইয়ের তদন্তে 'তদারকি' করবে ভিজিল্যান্স কমিশন

সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখতে পাচ্ছেন বিরোধীরা। কেউ কেউ রাফালের যোগও টেনে আনছেন। এ দিন অরুণ জেটলি বলেন, সিবিআইয়ের এই বিতর্ক দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু সিবিআইয়ের দুই কর্তা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। তা হলে কে কার তদন্ত করবে? সরকার তা পারে না। জেটলির মন্তব্য, গত কাল ভিজিল্যান্স কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই দুই কর্তাকে ছুটিতে পাঠানোর। তদন্তে স্বচ্ছ্তা রাখতে তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন জেটলি। তদন্ত কোনওভাবে উপহাসে পরিণত না হয় সে দিকে সরকার নিশ্চিত করতে চায় বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন- বর্মার অপসারণে রাফাল যোগ! সিবিআইয়ের নতুন নামকরণ করলেন মমতা

অলোক বর্মার অপসারণে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি আঙুল তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। তিনি অভিযোগ করেন, বর্মার ছুটি দেওয়ার পিছনে বিশেষ কারণ রয়েছে। রাফাল কাণ্ডে তদন্ত শুরু করার জেরেই কি বর্মাকে অপসারণ করা হল প্রশ্ন তোলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’-কে ‘বিজেপি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ বলে কটাক্ষ করেন। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে নিশানা করে তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতারাও। সিবিআইয়ের তদন্তে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অভিষেক সিংভি।   সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি দাবি করেন, অন্যায়ভাবে অলোক বর্মাকে অপসারণ করেছে মোদী সরকার। যে অফিসারের বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে, তাঁকে আড়াল করা হচ্ছে। ইয়েচুরির দাবি, এই তদন্তে বিজেপির রাঘব বোয়াল নেতারা জড়িত রয়েছেন বলে, অলোক বর্মাকে সরানো হল।

.