গণবণ্টন ব্যবস্থায় নজির কায়েম ত্রিপুরার
রাজ্যের গরীব মানুষদের জন্য অগাস্ট মাস থেকে রেশনে ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া চালু করেছে ত্রিপুরা সরকার। এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই এখন সরগরম রাজ্যের রাজনীতি। বিরোধী কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটের মুখে শুধুমাত্র চমক দিতেই বাম সরকারের এই সিদ্ধান্ত। যদিও বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে সরকারের দাবি, জনকল্যাণের উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত।
রাজ্যের গরীব মানুষদের জন্য অগাস্ট মাস থেকে রেশনে ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া চালু করেছে ত্রিপুরা সরকার। এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই এখন সরগরম রাজ্যের রাজনীতি। বিরোধী কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটের মুখে শুধুমাত্র চমক দিতেই বাম সরকারের এই সিদ্ধান্ত। যদিও বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে সরকারের দাবি, জনকল্যাণের উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত।
কেউ আসছেন সাইকেল চেপে। তো কারও আবার সঙ্গী স্কুটার। সাধারণ বস্তিবাসী থেকে শুরু করে সম্পন্ন মধ্যবিত্ত, ত্রিপুরায় প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ নির্ভর করেন রেশন ব্যবস্থার ওপর। বাজারের চেয়ে অর্ধেক দামে রেশন দোকানগুলিতে বিক্রি হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্যপণ্য। যা গোটা দেশের মধ্যে মডেল কায়েম করেছে। নায্যমূল্যে রাজ্যের মানুষকে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করার পাশাপাশি এবার গরীব মানুষদের জন্য রেশনে ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম সরকার। পরিবারপিছু মাসে ২ টাকা কেজি দরে ৩৫ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র ৬ টাকা ১৫ পয়সা কেজি দরে এই চাল রাজ্যকে সরবরাহ করে। প্রতি কেজিতে ৪ টাকা ১৫ পয়সা ভর্তুকি দেয় ত্রিপুরা সরকার। এজন্য বছরে প্রায় ৩৬ কোটি টাকার ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে। বিপিএল তালিকাভুক্ত ২ লক্ষ ৯৫ হাজার পরিবারকে রেশনে এই চাল দেওয়া হচ্ছে। সরকারি এই সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্যের সাধারণ মানুষও।