শিশুকে মায়ের কোল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মুণ্ডচ্ছেদ, ঝালদার ঘটনায় শিউরে উঠল পুলিস

বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তার মাথার কোনও হদিশ নেই। খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।

Updated By: Aug 2, 2019, 07:40 AM IST
শিশুকে মায়ের কোল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মুণ্ডচ্ছেদ, ঝালদার ঘটনায় শিউরে উঠল পুলিস
ধৃত রিঙ্কু শাহু ও কৈলাশ কুমার

নিজস্ব প্রতিবেদন:  প্ল্যাটফর্মে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে ছিল শিশুটি। সেখান থেকেই লুকিয়ে কোলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। তারপর থেকে মিলছিল না পুরুলিয়ার ঝালদার তিন বছরের ওই শিশুটির। গত ২৯ জুলাই তার ধড় খুঁজে পায় পুলিস। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তার মাথার কোনও হদিশ নেই। খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।

 

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক ধরে ওই শিশুটির মা ঝালদায় বাপেরবাড়িতে থাকছিলেন। কিছুদিন আগে ফোনে নাম ভাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ জমায় ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের বাসিন্দা মনু মণ্ডল। গত কয়েকদিন আগে মনু তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় বলেও দাবি করেন যুবতী। এরপর বাড়ির লোকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে বলে মনু ওই যুবতী ও তাঁর শিশুকন্যাকে টাটানগরে নিয়ে যায়।

যুবতীর বয়ান অনুযায়ী, মনু তাঁদের যে বাড়িতে নিয়ে তোলে, তার প্রধান দরজা তালাবন্ধ ছিল। এরপর ২৪ জুলাই প্ল্যাটফর্মেই মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ওই যুবতী। সঙ্গে ছিল মনুও। তাঁর অভিযোগ, আচমকা ঘুম ভাঙতেই তিনি দেখেন, মেয়ে পাশে নেই। রেলপুলিসের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেও মনু বাধা দেয়। এরপর নিজেই চিত্কার করে লোক জড়ো করেন ওই যুবতী। তারপর তাঁদের নিয়েই রেলপুলিসের কাছে যান।

প্ল্যাটফর্মের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস। দেখা যায়, বারমুডা পরা দুজন যুবক শিশুটিকে কোলে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিস তাদের চিহ্নিত করে। ধৃতদের মধ্যে রিঙ্কু শাহুর বিরুদ্ধে আগেও শিশুচুরির অভিযোগ রয়েছে। তার মা পেশায় পুলিসকর্মী। অন্যদিকে, কৈলাশ কুমারের বাবা সিআরপিএফ জওয়ান। তিনি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় কর্মরত।

দ্বিচারিতার অভিযোগে উবর ইটস-জোমাটো অ্যাপ ডিলিট করে প্রতিবাদ নেটিজেনদের একাংশের

তাদের জেরা করেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২৯ জুলাই তাদের নিয়েই টেলকোর একটি বাগানে তল্লাশি চালায় পুলিস। সেখান থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগ ভর্তি শিশুটির ধড় উদ্ধার হয়। জেরায় তারা স্বীকার করে, প্ল্যাটফর্ম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে তারা। এরপর শিশুটি খাট থেকে পড়ে যায়। মাথা চোট লাগায়, কাঁদতে শুরু করে সে। কান্না না থামাতে পেরে, শিশুটির মাথা কেটে ফেলে তারা।

মনুকেও গ্রেফতার করেছে পুলিস। তিন জনই জামশেদপুরের ঘাঘেডি জেলে রয়েছে। কীভাবে রেলপুলিস থাকা সত্ত্বেও প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি শিশুকে অপহরণ করা হলেও, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

.