দিল্লি এইমসে উড়িয়ে আনা হল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার আইনজীবীকেও
প্রিম কোর্ট নির্যাতিতা ও তাঁর আইনজীবীকে চিকিত্সার জন্য দিল্লি এইমস্-এ পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আজ, মঙ্গলবার উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার আইনজীবীকেও লখনউ থেকে দিল্লির এইমস্-এ স্থানান্তরিত করা হল। সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লখনউয়ের হাসপাতাল থেকে দিল্লি এইমসে স্থানান্তর করা হয় নির্যাতিতাকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই নির্যাতিতা ও তাঁর আইনজীবীর স্থানান্তরের ব্যবস্থা করল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
লখনউয়ের হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে এক সঙ্গে দুজনকে স্থানান্তর করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই প্রথমে নির্যাতিতা ও পরে তাঁর আইনজীবীকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তার পাশাপাশি লখনউয়ের হাসপাতালের চিকিত্সকরা জানান, নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। চিকিত্সকদের কথায় চোখ খুলে তাকাচ্ছেনও তিনি। ভেন্টিলেটর থেকে তাঁকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে। তবে, তাঁর রক্তচাপের দিকে কড়া নজর রাখছেন চিকিত্সকরা। এদিকে নির্যাতিতার আইনজীবীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানায় লখনউয়ের হাসপাতাল।
সুপ্রিম কোর্ট নির্যাতিতা ও তাঁর আইনজীবীকে চিকিত্সার জন্য দিল্লি এইমস্-এ পাঠানোর নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশে শীর্ষ আদালত জানায়, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স দিল্লির মাটি ছোঁয়া থেকেই নির্যাতিতার দায়িত্ব চলে যাবে এইমস্-এর হাতে। সোমবার নির্যাতিতাকে বিমানবন্দর থেকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করে দিল্লি পুলিস।
লখনউয়ের কিং জর্জে’স মেডিকেল ইউনিভার্সিটি ট্রমা সেন্টারে চিকিত্সা চলছিল নির্যাতিতা এবং তাঁর আইনজীবীর। একাধিক ক্ষত রয়েছে নির্যাতিতার শরীরে। ফুসফুসে গুরুতর আঘাত আছে। মাথায় এবং পায়ে গুরুতর চোট রয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখতে বাইরে থেকে সার্পোট দেওয়া হচ্ছিল। তবে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করতে ভেন্টিলেটর থেকে বার করা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন - গত ৮৫ বছর মন্দির চত্বরে প্রবেশাধিকার ছিল না মুসলিমদের, সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল নির্মোহী আখাড়ার