Ayodhya: ৫০০ বছর পরে অযোধ্যার সিংহাসনে ফিরছেন ভগবান রাম! ত্রিপুরায় বড় ঘোষণা যোগী আদিত্যনাথের
Tripura Polls: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বুধবার পশ্চিম ত্রিপুরার মজলিশপুরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেন। এই সময় তিনি বলেছিলেন যে অযোধ্যায় এক বছরের মধ্যে রাম মন্দির তৈরি হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেছেন যে ৫০০ বছর পরে ভগবান রাম অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দিরের সিংহাসন অলঙ্কৃত করবেন। যদিও সিপিআই-এম এবং কংগ্রেস ভগবান রাম বা কৃষ্ণের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। বুধবার পশ্চিম ত্রিপুরার (West Tripura) মজলিশপুরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেছেন যে এক বছরের মধ্যে রাম মন্দির তৈরি হবে এবং ভগবান রাম তাঁর সিংহাসনে বসার পরে আমাদের সকলকে তাঁর আশীর্বাদ দেবেন।
আদিত্যনাথ বলেন, ‘কংগ্রেস এবং সিপিআই-এম শুধুমাত্র দুর্নীতি এবং হিংসায় বিশ্বাস করে। কংগ্রেস এবং সিপিআইএম-এর শাসনকালে ত্রিপুরা একসময় কুখ্যাত ছিল’। তিনি আরও বলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর (২০১৮ সালে) রাজ্যে, শান্তি ও সুশাসন এসেছে।
আরও পড়ুন: PM Awas Yajona: আবাস যোজনার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকতেই প্রেমিকদের সঙ্গে ঘর ছাড়লেন ৪ গৃহবধূ
কংগ্রেস ও সিপিআই-এম-এর শাসনকালে উন্নয়ন ও কল্যাণের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছায়নি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন ত্রিপুরা এখন দেশের অন্যতম উন্নত রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার কানেক্টিভিটি থেকে শুরু করে মানুষের কল্যাণে অনেক কিছু দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘লোকেরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, এবং বিজেপি সরকার মানুষকে বিশাল উন্নয়নমূলক উপহার দিয়েছে। মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ত্রিপুরা সরকার সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছে। আবাস যোজনা হোক বা কৃষকদের কল্যাণ প্রকল্প থেকে স্বাস্থ্য প্রকল্প, মোদী সরকার সাধারণ ও গরিব মানুষকে সব দিয়েছে’।
আরও পড়ুন: Mid Day Meal: রাজ্যে মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ, সিএজি তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্র
আদিত্যনাথ আরও অভিযোগ করেছেন যে কংগ্রেস এবং সিপিআই-এম ডবল ইঞ্জিন সরকারের উন্নয়ন মিশনকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করছে এবং তাদের একমাত্র লক্ষ্য রাজনৈলাভ তোলার জনগণকে পিছিয়ে রাখা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে কংগ্রেস যখন দেশে শাসন করেছিল তখন দুর্নীতি শীর্ষে ছিল।
তিনি বলেন, ‘দেশ কংগ্রেসের কয়লা কেলেঙ্কারি, 2G কেলেঙ্কারি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় কেলেঙ্কারি এবং কমনওয়েলথ গেমস কেলেঙ্কারির সাক্ষী হয়েছে। দুর্নীতি এবং কংগ্রেস সমার্থক হয়ে উঠেছে’।