উত্তরপ্রদেশে পরিবর্তনের ইঙ্গিত স্পষ্ট সমীক্ষায়
শেষ হল উত্তরপ্রদেশের ভোটগ্রহণ পর্ব। ম্যারাথন ভোটগ্রহণ পর্বে শনিবার ছিল সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট। দশ জেলায় ভাগ্য নির্ধারিত হল প্রায় সাড়ে নশো প্রার্থীর। আগামী ৬ মার্চ রাজ্যের ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা। তখনই জানা যাবে, কে বসতে চলেছেন লখনউয়ের মসনদে। কিন্তু ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
শেষ হল উত্তরপ্রদেশের ভোটগ্রহণ পর্ব। ম্যারাথন ভোটগ্রহণ পর্বে শনিবার ছিল সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট। দশ জেলায় ভাগ্য নির্ধারিত হল প্রায় সাড়ে নশো প্রার্থীর। আগামী ৬ মার্চ রাজ্যের ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা। তখনই জানা যাবে, কে বসতে চলেছেন লখনউয়ের মসনদে। কিন্তু ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের এক্সিট পোল থেকে একটা বার্তা কিন্তু স্পষ্ট, সম্ভবত ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছেন বহিনজি।
শনিবার শেষ দফায় উত্তরপ্রদেশে ভোটগ্রহণ হয় বিজনৌর, মোরাদাবাদ, ভীমনগর, রামপুর, জয়োতিবা, ফুলেনগর, বদায়ুঁ, বরেলি, পিলভিট, সাজাহানপুর এবং লখিমপুর-খেরি জেলার ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে। মোট প্রার্থী প্রায় সাড়ে নশো। এঁদের মধ্যে ৯৫ জনের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, দাঙ্গা-সহ বিভিন্ন গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। নয়ের দশকে এই অঞ্চলে বিজেপি`র জনসমর্থন যথেষ্ট মজবুত ছিল। তবে ২০০৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে এই অঞ্চলে চমকপ্রদ সাফল্য পেয়েছিল মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। এবারও তারই পুনরাবৃত্তি হয় কি না, সেদিকে নজর থাকবে গোটা দেশের।
কিন্তু ইতিমধ্যেই পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের এক্সিট পোলে দেখা যাচ্ছে, দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে মুলায়ম সিং-এর সমাজবাদী পার্টি। বেশ পিছিয়ে মায়াবতীর বিএসপি। তুলনামূলক ভাবে ভাল ফল করতে চলেছে কংগ্রেস। আসন কমছে বিজেপির। কিন্তু কোনো দলই একক সংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। এবং সম্ভবত ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা। আগামী ৬ মার্চ রাজ্যে ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগণনা। আর তারপরই জানা যাবে লখনউ-এর কুরসির ভাগ্য। উত্তরপ্রদেশের মতোই অন্যান্য রাজ্যেও তুলনামূলক ভাবে ভাল ফল করতে চলেছে কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, উত্তরাখণ্ড এবং পাঞ্জাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে কংগ্রেসই। এক্সিট পোলের হিসাবে, উত্তরাখণ্ডে ৩২ থেকে ৪২টি আসন পেতে পারে কংগ্রেস। অন্যদিকে পাঞ্জাবে কংগ্রেসের ঝুলিতে পড়তে পারে ৫৮ থেকে ৬২টি আসন। গোয়াতেও আবার ক্ষমতা ধরে রাখার সম্ভাবনা প্রবল কংগ্রেসের। তেমন হলে দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ফল কংগ্রেসের পক্ষে বেশ আশাব্যঞ্জক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।