Ludo Bet: লুডোয় বাজি ধরেন নিজেকেই! স্ত্রীর চাঞ্চল্যকর দাবিতে গোটা ঘটনায় নয়া মোড়
রেণুর কথায়, 'আমার স্বামী জুয়া খেলায় আসক্ত। আমার এমন কোনও অভ্যাস নেই। আমি বাড়ি বাড়ি কাজ করে থাকি। দিন গুজরান করতে আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।'
![Ludo Bet: লুডোয় বাজি ধরেন নিজেকেই! স্ত্রীর চাঞ্চল্যকর দাবিতে গোটা ঘটনায় নয়া মোড় Ludo Bet: লুডোয় বাজি ধরেন নিজেকেই! স্ত্রীর চাঞ্চল্যকর দাবিতে গোটা ঘটনায় নয়া মোড়](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/12/07/398931-ludo-bet.jpg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লুডো খেলায় বাজি ধরার ঘটনায় উলটপুরাণ! স্বামী দাবি করেছিলেন, তাঁর স্ত্রী লুডোতে এতটাই আসক্ত যে বাড়িমালিকের সঙ্গে খেলার সময় বাজিতে হারতে হারতে শেষমেশ তিনি নিজেকেই বাজি রাখেন। আর তারপর বাদি হেরে বাড়িমালিকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছেন। কিন্তু এবার সেই ঘটনাতেই ইউ-টার্ন। স্ত্রীর দাবি এর ১৮০ ডিগ্রি বিপরীত। নয়া মোড় গোটা ঘটনায়।
স্ত্রীর স্পষ্ট দাবি, এই ঘটনা একদমই সত্যি নয়। তাঁর লুডো খেলায় কোনও আসক্তি নেই। তিনি বাড়িমালিকের সঙ্গে কোনও লুডো খেলেনওনি। আর নিজেকে বাজি রাখার মত ঘটনার কোনও প্রশ্নও ওঠে না। বরং তাঁর সাফ দাবি, তাঁর স্বামী উমেশের জুয়া খেলার আসক্তি রয়েছে। স্বামী উমেশ যতই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করে থাকুক যে, রেণু লুডো খেলতে খেলতে সব টাকাপয়সা উড়িয়ে দিয়েছেন, খেলায় নিজেকে বাজি রেখেছেন। তারপর সেই বাজিতে হেরে বাড়িমালিকের সঙ্গে থাকছেন! স্ত্রী রেণুর দাবি, এই সবটাই মিথ্যে। ভুয়ো। সাজানো গল্প।
স্ত্রীর কাছ থেকে এমন পালটা অভিযোগ সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিস। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। আদতে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের বাসিন্দা ছিলেন উমেশ ও রেণু। তবে কাজের সূত্রে মাস ছয়েক আগে জয়পুরে চলে যান উমেশ। সঙ্গে যান স্ত্রী রেণুও। রেণুর কথায়, 'আমার স্বামী জুয়া খেলায় আসক্ত। আমার এমন কোনও অভ্যাস নেই। আমি বাড়ি বাড়ি কাজ করে থাকি। দিন গুজরান করতে আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।'
আরও পড়ুন, Viral Shocking Video: ইট, পাথর ছুঁড়ে ছুঁড়ে যুবকের মাথা থেঁতলে খুন ৬ উন্মাদের!
১ কোটির জাগুয়ারের ধাক্কায় খেলনার মতো টুকরো টুকরো স্কুটার, হাওয়ায় উড়ল যুবতী! পরিণতি মর্মান্তিক
ওদিকে উমেশ পুলিসের কাছে দাবি করেছেন যে, লুডো খেলায় আসক্ত তাঁর স্ত্রী। তাঁর সমস্ত টাকা লুডো খেলে উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী রেণু। শেষমেশ নিজেকে বাজি রাখেন রেণু। সেই বাজিতে হেরে তাঁর স্ত্রী বাড়িমালিকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছেন। তিনি তাঁর স্ত্রীকে বাড়িমালিককে ছেড়ে চলে আসতে বললেও, রেণু রাজি হননি। পরস্পর বিরোধী এই দুই অভিযোগের সামনে দাঁড়িয়ে পুলিস এখন উমেশকে খুঁজছে। যাকে হাতে পেলেই খোলসা হবে গোটা ঘটনার। এদিকে উমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ত্রীর রেণুর নিজেকে বাজি ধরার ভিডিয়ো পোস্ট করার পর থেকেই ভাইরাল এই খবর। দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে।