মোবাইল-মন্ত্রেই লোকসভা ভোটে বাজিমাত করতে চায় কংগ্রেস
`কংগ্রেসকা হাথ, আম আদমি কে সাথ`। ২০০৪ সালের লেকসভা ভোটে বিজেপি`র `ভারত উদয়` আর `ফিল গুড` স্লোগানের মোকাবিলা করতে আমজনতার প্রতি সুদীর্ঘ দায়বদ্ধতার ইতিহাসই তুলে ধরা হয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দলের তরফে। আর তাতে সাফল্যও এসেছিল হাতেনাতে।
`কংগ্রেসকা হাথ, আম আদমি কে সাথ`। ২০০৪ সালের লেকসভা ভোটে বিজেপি`র `ভারত উদয়` আর `ফিল গুড` স্লোগানের মোকাবিলা করতে আমজনতার প্রতি সুদীর্ঘ দায়বদ্ধতার ইতিহাসই তুলে ধরা হয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দলের তরফে। আর তাতে সাফল্যও এসেছিল হাতেনাতে।
কিন্তু পেট্রোপণ্যের ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে খাদ্যপণ্যের দামের লাগাতার উর্ধ্বগতি, সমস্ত ক্ষেত্রেই আম আদমির পকেটে টান পড়েছে দ্বিতীয় ইউপিএ-র জমানায়। এই পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেওয়ার অঙ্গীকার করতে চলেছে মনমোহন সরকার। ২৪ আকবর রোডের নীতি নির্ধারদের ধারণা, ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের সাফল্যের পর এই `হর হাথ পে মোবাইল ফোন` কর্মসূচি ফের স্ফীত করবে দলের ক্ষয়িষ্ণু ভোটব্যাংক।
অদূর ভবিষ্যতে চাল, ডাল, গমের সঙ্গে সঙ্গে বিপিএল কার্ডধারীদের মোবাইল ফোনও দেওয়া হতে পারে! দেওয়া হতে পারে, ২০০ মিনিটের ফ্রি লোকাল কলও! পিএমও সূত্রে খবর, আগামী ১৫ অগাস্ট লালকেল্লা থেকে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা প্রান্তিক নাগরিকদের জন্য নয়া এই প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং স্বয়ং।
সঙ্গত কারণেই কংগ্রেস নেতৃত্বের এই পপুলিজম-এর রাজনীতিতে শঙ্কিত বিজেপি শিবির। শাসক দলের বিরুদ্ধে চমকের রাজনীতি করার অভিযোগ এনে বিজেপি মুখপাত্র বলবীর পুঞ্জের দাবি যে দেশের প্রতিটি ঘরে এখনও বিদ্যুত্ পৌঁছোয়নি, সেখানে মোবাইল পরিষেবা অপ্রয়োজনীয়। বিদ্যুত্ না পেলে গ্রামের দরিদ্র আম নাগরিকরা কী ভাবে মোবাইলে চার্জ দেবে, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ইউপিএ সরকারের এই প্রকল্প দেশের উর্ধ্বগামী অপরাধ লেখচিত্রকে আরও বাড়িয়ে দেবে।