তেল উত্পাদন নিয়ে লবিবাজির অভিযোগ তুললেন মইলি
দেশ জ্বালানি তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস উত্পাদনে স্বনির্ভর হোক, চায় না দেশেরই একটি লবি। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ করেছেন স্বয়ং দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি। তাঁর দাবি, অত্যন্ত ক্ষমতাশালী এই লবি হুমকি দেয় খোদ পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীকে এবং দফতরের আমলাদেরও।
দেশ জ্বালানি তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস উত্পাদনে স্বনির্ভর হোক, চায় না দেশেরই একটি লবি। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ করেছেন স্বয়ং দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি। তাঁর দাবি, অত্যন্ত ক্ষমতাশালী এই লবি হুমকি দেয় খোদ পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীকে এবং দফতরের আমলাদেরও। বীরাপ্পা মইলির এই অভিযোগে রীতিমতো সোচ্চার বিরোধীরা। কারা এই লবির সদস্য, তাদের নাম প্রকাশের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
প্রতিবছরই জ্বালানি আমদানি খাতে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ব্যয় করতে হয় কেন্দ্রকে। অশোধিত জ্বালানি তেলের জন্য দেশ আমদানি-নির্ভর হওয়ায় প্রায় প্রতি মাসেই বাড়ে ডিজেল এবং পেট্রোলের দাম। এক্ষেত্রে জ্বালানি তেলের দেশজ উত্পাদন বৃদ্ধিই খরচ কমানোর একমাত্র উপায়। অথচ কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলির অভিযোগ, জ্বালানি তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসে ভারত আমদানি-নির্ভরই হয়ে থাকুক, এই উদ্দেশ্যে সক্রিয় একটি লবি। দেশে পেট্রোপণ্যের ভাণ্ডারের অনুসন্ধান চালাতে গেলেই সেই লবি নানা রকমভাবে বাধা সৃষ্টি করছে বলে তাঁর অভিযোগ। এমনকি পেট্রোলিয়াম দফতরের মন্ত্রী এবং আমলাদেরও হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বীরাপ্পা মইলি। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর এই মন্তব্যে উদ্বিগ্ন বাম নেতৃত্ব। পুরো বিষয়টি দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট করে জানানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা।
একই দাবি প্রাক্তন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী রাম নায়েকের। এদেশে জ্বালানি তেল আমদানির দায়িত্ব রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির। ওই সব সংস্থার আধিকারিকেরা কেন কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এধরনের হুমকি দেবেন তা স্পষ্ট নয়, মন্তব্য করেছেন সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত।