১০০ শতাংশ ঋণ মেটাতে চেয়ে বিজয় মালিয়া বললেন, 'প্লিজ, নিয়ে নিন।'

তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপ করে দেশ ছেড়ে পালানোর অভিযোগ বারবার উঠছে, তা মানতে নারাজ বিজয় মালিয়া। বরং তাঁর দাবি, তিনি সুবিচার পাওয়ার যোগ্য।

Updated By: Dec 5, 2018, 12:20 PM IST
১০০ শতাংশ ঋণ মেটাতে চেয়ে বিজয় মালিয়া বললেন, 'প্লিজ, নিয়ে নিন।'

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণ মিটিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন বিজয় মালিয়া। দেশ ছেড়ে পালানো এই ব্যবসায়ী বুধবার একাধিক ট্যুইট করে এই প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তিনি ১০০ শতাংশ মূলধন ফেরাতে চান। কিন্তু ঋণবাবদ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে যে সুদ বাকি রয়েছে, সেগুলির কী হবে, তা নিয়ে কিছু লেখেননি জালিয়াতি ও অর্থ তছরূপে অভিযুক্ত এই ব্যবসায়ী।

 

তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপ করে দেশ ছেড়ে পালানোর অভিযোগ বারবার উঠছে, তা মানতে নারাজ বিজয় মালিয়া। বরং তাঁর দাবি, তিনি সুবিচার পাওয়ার যোগ্য। তাঁর বিরুদ্ধে দেশ ছেড়ে পালানোর মিথ্যা অভিযোগ করছে ভারতীয় মিডিয়া ও রাজনৈতিক নেতারা। ব্যাঙ্ক ঋণের বিষয়টি মিটমাট করার জন্য তিনি কর্ণাটক হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন বলেও এদিন ট্যুইটে দাবি করেছেন বিজয় মালিয়া।

 

একই সঙ্গে তিনি একাধিক অভিযোগও করেছেন। বিজয় মালিয়ার দাবি, তাঁর বিমানসংস্থাটি বেশ লাভজনক ছিল। কিন্তু জ্বালানির অনেক বেশি দামের জন্য তাঁর খরচ বাড়তে থাকে। এতে বৃদ্ধি পায় ঋণের পরিমাণ। তার পরও তিনি ১০০ শতাংশ মূলধন ফেরাতে চেয়েছিলেন বলে এদিন ট্যুইট করে দাবি করেছেন বিজয় মালিয়া।

 

এদিন ট্যুইটারের মাধ্যমে তিনি উল্লেখ করেছেন যে তাঁর অ্যালকোহল ও বিমান সংস্থা কীভাবে রাজস্ব দিয়ে সরকারি কোষাগার ভরেছে। তার পরও তাঁর এই অবস্থা কেন হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তবে নিজের প্রত্যর্পণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। আইন আইনের মতোই চলবে বলে এড়িয়ে গিয়েছেন বিষয়টি।

 

বিজয় মালিয়া ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ না মেটানোয় অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে ঋণের হিসেব এদিক-ওদিক করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালের ২ মার্চ তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। জার্মানি হয়ে তিনি পৌঁছান লন্ডন। আপাতত সেখানেই তিনি থাকেন।

.