অভিনব এটিএম, এক টাকায় ১০লিটার জলের সন্ধান কর্নাটকে
এক টাকার কয়েন ফেললেই পাইপ দিয়ে বেরিয়ে আসবে ১০ লিটার জল। তাও এক্কেবারে বিশুদ্ধ পানীয় জল। হ্যাঁ, এরকমই কুড়িটি জলের ভেন্ডিং মেশিন বসেছে কর্নাটকের প্রত্যন্ত গ্রাম কণকপুরায়। এতদিন ভরসা ছিল নলকূপের জল। বিস্বাদ, কষা জলই খেতে বাধ্য ছিলেন কণকপুরার বাসিন্দারা। গতবছরের খরার পর পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়েছিল। জল নেমে গিয়েছিল মাটির প্রায় ফুট নীচে। ভাবনাচিন্তা শুরু হয় সেখান থেকেই। তারই ফলশ্রুতি এই মেশিন।
এক টাকার কয়েন ফেললেই পাইপ দিয়ে বেরিয়ে আসবে ১০ লিটার জল। তাও এক্কেবারে বিশুদ্ধ পানীয় জল। হ্যাঁ, এরকমই কুড়িটি জলের ভেন্ডিং মেশিন বসেছে কর্নাটকের প্রত্যন্ত গ্রাম কণকপুরায়। এতদিন ভরসা ছিল নলকূপের জল। বিস্বাদ, কষা জলই খেতে বাধ্য ছিলেন কণকপুরার বাসিন্দারা। গতবছরের খরার পর পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়েছিল। জল নেমে গিয়েছিল মাটির প্রায় ফুট নীচে। ভাবনাচিন্তা শুরু হয় সেখান থেকেই। তারই ফলশ্রুতি এই মেশিন।
না কোনও ঝঞ্ঝাট, না লাইনে দাঁড়িয়ে ঝগড়াঝাঁটি। এ যেন ফেলো কড়ি, নাও জল। এক টাকার কয়েন থাকলেই হবে। তাহলেই মিলবে এক্কেবারে বিশুদ্ধ পানীয় জল। স্বভাবতই খুশি কণকপুরার বাসিন্দারা।
স্থানীয় কংগ্রেস সাংসদ ডি কে সুরেশ আর তাঁর ভাই বিধায়ক ডি কে শিবকুমারের উদ্যোগেই গত অক্টোবরে শুরু হয় এই প্রকল্পের কাজ। সরকারের তরফে পানীয় জলের জন্য টাকা বরাদ্দের অপেক্ষা করেননি সাংসদ-বিধায়ক ভাইয়েরা। এলাকা উন্নয়নের টাকাই ঢেলেছেন প্রকল্পে। এখন গোটা কণকপুরায় এরকম জলের ভেন্ডিং মেশিন বসেছে ২০টি। একেকটি মেশিনের পিছনে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। আর রক্ষণাবেক্ষণে বছরে মেশিনপিছু খরচ পনেরো হাজার টাকার মতো। আগামী আটমাসের মধ্যে এলাকায় একশোটি এরকম মেশিন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
সাংসদ-বিধায়ক ভাইদের এলাকা উন্নয়নের টাকা থেকেই তৈরি হয়েছে একটি ট্রাস্ট। আর সেই ট্রাস্টের টাকাতেই মাথা তুলেছে ঝর্ণা ওয়াটার টেকনোলজি। জলের জন্য হাহাকার এখন তাই কণকপুরার কাছে অতীত। দেশের অন্য যেসব এলাকার মানুষ জলকষ্টের শিকার, সেখানকার জন প্রতিনিধিদের কাছেও কি কণকপুরা হয়ে উঠতে পারে না মডেল?