দিল্লির মসনদ দখলের লড়াইয়ে কোথায় দাঁড়িয়ে বিজেপি

শেষপর্যন্ত মোদীতেই আস্থা রাখল বিজেপি। কিন্তু, মোদী ক্যারিসমা কি পারবে দিল্লি মসনদে গেরুয়া পতাকা ওড়াতে? আডবানীর বিরোধিতা উপেক্ষা করেই মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। কিন্তু, লাখ টাকার প্রশ্ন, মোদী তাস কি শেষপর্যন্ত ক্ষমতায় ফেরাতে পারবে বিজেপিকে?  

Updated By: Sep 14, 2013, 11:04 PM IST

শেষপর্যন্ত মোদীতেই আস্থা রাখল বিজেপি। কিন্তু,  মোদী ক্যারিসমা কি পারবে দিল্লি মসনদে গেরুয়া পতাকা ওড়াতে? আডবানীর বিরোধিতা উপেক্ষা করেই মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। কিন্তু, লাখ টাকার প্রশ্ন, মোদী তাস কি শেষপর্যন্ত ক্ষমতায় ফেরাতে পারবে বিজেপিকে?
 
লোকসভায় এই মুহুর্তে ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি-
 
৫৪৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি-র ঝুলিতে রয়েছে ১১৬ আসন। ক্ষমতা দখল করতে গেলে বিজেপিকে পৌঁছতে হবে ম্যাজির ফিগার ২৭২-এ। ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে বিজেপি-র সামনে একমাত্র পথ দেশজোড়া সমর্থন। কিন্তু, সমস্যার শুরুটা সেখানেই। রাজনৈতিক দল হিসাবে সর্বভারতীয় উপস্থিতি নেই বিজেপি-র। মূলত গোবলয়ের রাজ্য ও দক্ষিণের কর্নাটকেই সীমাবদ্ধ দলের সমর্থনের ভিত। লোকসভায় দুর্দান্ত ফল করতে হলে, বিজেপি তথা মোদীর ভরসা যে রাজ্যগুলি, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেখানে এই মুহুর্তে ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে দল।
 
রাজ্য           লোকসভা আসন        বিজেপি
রাজস্থান          ২৫                      ০৪
 
গুজরাট           ২৬                      ১৬
 
উত্তরপ্রদেশ        ৮০                      ১০
 
মধ্যপ্রদেশ          ২৯                     ১৭
 
ছত্তিসগড়           ১১                     ১০
 
বিহার               ৪০                    ১২
 
ঝাড়খণ্ড             ১৪                     ০৭
 
কর্নাটক              ২৮                     ১৮
 
দিল্লি                    ৭                      ০
 
হিমাচল প্রদেশ          ০৪                     ০৩
 
উত্তরাখণ্ড               ০৫                     ০১
 
মহারাষ্ট্র                ৪৮                     ০৯
 
এই রাজ্যগুলিতে বিজেপি-র পক্ষে ব্যাপক সুইং মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নকে বেশখানিকটা মাইলেজ দিতে পারে। কিন্তু, কাজটা যে খুব সহজ নয় বুঝছেন মোদীও। লোকসভায় এইসবকটি রাজ্যের সম্মিলিত আসন সংখ্যা ৩১৭। এই রাজ্যগুলি থেকে যত বেশি সংখ্যক আসন জেতার লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চাইছেন মোদী। সেই জন্য, ইতিমধ্যেই ঘনিষ্ঠ অমিত শাহকে উত্তরপ্রদেশে দায়িত্বে দিয়েছেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। দলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে দলের এক সময়ের সম্পদ কল্যাণ সিংকে। মোদী চাইছেন বিক্ষুদ্ধ ইয়েদুরাপ্পাকে ঘরে ফিরিয়ে কর্নাটকের হাল ফেরাতে। এর পাশাপাশি, পঞ্জাবে আকালি, তামিলনাড়ুতে জয়ললিতাকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু, তাতেও কী লক্ষ্য পূরণ হবে?  প্রশ্নটা উঠছেই। কারণ প্রায় ২০০-র বেশি লোকসভা আসন বিশিষ্ট বাকি রাজ্যগুলিতে বিজেপি-র উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সেই রাজ্যে ভরসা আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট। কিন্তু,  লোকসভা নির্বাচনের ৮ মাস আগেই প্রধানমন্ত্রী পদে মোদীর নাম ঘোষণা সঙ্গী পাওয়ার পথে বিজেপি-র বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভাবমূর্তির কারণে মোদীর হাত ধরা সম্ভব নয় বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে জেডিইউ।
 
মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের কারণে, বিজেপির হাত ধরতে অসুবিধে রয়েছে সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি, বিজেডি, ও তৃণমূল কংগ্রেসের মতো আঞ্চলিক দলগুলির। ফলে, যাবতীয় বাধা কাটিয়ে মোদীর একার ক্যারিজমায় বিজেপি আদৌ কি পারবে ক্ষমতা দখল করতে? প্রশ্নটা উঠছে বিজেপি-র অন্দরেও। ছবিটা পরিস্কার হয়ে যাবে পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পরই।
 

.