হংকং-তিব্বতে কী করছে চিন? প্রশ্ন তোলা উচিত কেন্দ্রের, মোদীকে খোঁচা কংগ্রেসের
কংগ্রেসের মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি টুইটে জানান, কাশ্মীর নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ করছে বলে চিন জানিয়েছে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা বিদেশমন্ত্রক কেন প্রশ্ন করছে না, যে ভারতও হংকংয়ের বিক্ষোভ, জিজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন, তিব্বতে দমননীতি কিংবা দক্ষিণ চিন সাগরে আগ্রাসনের উপর কড়া নজর রাখছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামিকাল ভারতে আসছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ঘরোয়া আলোচনা হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। কিন্তু তার আগে কাশ্মীর নিয়ে বেজিং যে বিবৃতি জারি করে, শুধু মোদী সরকার নয় ক্ষুব্ধ বিরোধী রাজনৈতিক দলও। কেন্দ্রকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তোপ দাগল কংগ্রেস।
আজ, কংগ্রেসের মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি টুইটে জানান, কাশ্মীর নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ করছে বলে চিন জানিয়েছে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা বিদেশমন্ত্রক কেন প্রশ্ন করছে না, যে ভারতও হংকংয়ের বিক্ষোভ, জিজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন, তিব্বতে দমননীতি কিংবা দক্ষিণ চিন সাগরে আগ্রাসনের উপর কড়া নজর রাখছে। অর্থাত্ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোদী সরকার যে কড়া মনোভাব পোষণ করে, চিনের ক্ষেত্রেও তা করা উচিত বলে স্পষ্ট করল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- ‘মোদী-চোর’ মন্তব্য করায় দেশে ফিরেই আদালতে হাজিরা দিলেন রাহুল গান্ধী
উল্লেখ্য, গতকালই নয়া দিল্লির তরফে বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে, কাশ্মীর সমস্যা একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে অন্য কোনও দেশের নাক গলানো বরদাস্ত করবে না। ভারতের অবস্থান নিয়ে চিন আগের থেকেই ওয়াকিবহাল বলে জানানো হয়। উল্লেখ্য, গতকাল চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাশ্মীর বিষয়টি ফের উত্থাপন করেন তিনি। চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রকৃত সমস্যার সমাধানে চিন সবসময় রয়েছে বলে আশ্বাস দেন জিনপিং। কাশ্মীর নিয়ে তাঁর মন্তব্য, সেখানে কী ভাল-মন্দ ঘটছে, তার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত রয়েছে চিন। এ বিষয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।