বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবার দিল্লিতে, আকারে ২২টি ফুটবল মাঠের সমান
৪০০ জন চিকিৎসক এখানে রোজ দুটি শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। থাকবেন ৮০০ জন স্বাস্থ্য কর্মী।
নিজস্ব প্রতিনিধি- গোটা দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রবাসী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংক্রমণের হার বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোভিড-১৯ কেয়ার ফেসিলিটি সেন্টার বানিয়ে ফেলেছে। দক্ষিণ দিল্লির রাধাস্বামী আশ্রমে হয়েছে এই সেন্টার। আকার-আয়তনে ২২টি ফুটবল মাঠের সমান। ৪০০ জন চিকিৎসক এখানে রোজ দুটি শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। থাকবেন ৮০০ জন স্বাস্থ্য কর্মী। এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার বেড পাতা হয়েছে। এক হাজার বেড-এর সামনে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। ৫০০ টি বেড আপতকালীন অবস্থার জন্য রাখা হয়েছে। সেন্টারের পরিচালক বলছেন, ওই পাঁচশোটি বেড নিয়ে মিনি হাসপাতাল করা হয়েছে।
এই সেন্টারের সব থেকে ভালো দিক হল বেড। প্রতিটি বেড তৈরি হয়েছে কার্ডবোর্ড দিয়ে। গবেষকরা জানিয়েছেন, কার্ডবোর্ডের উপর করোনাভাইরাস ২৪ ঘন্টার বেশি বেঁচে থাকতে পারে না। মেটাল, প্লাস্টিক বা কাঠের উপর এই প্রাণঘাতী ভাইরাস পাঁচ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। তাই সেন্টারে কার্ডবোর্ডের বেড পাতা হয়েছে। খুবই হালকা এই বেড। যখন তখন যেখানে সেখানে পেতে দেওয়া যায়। তাছাড়া সুরক্ষার দিক থেকেও কাঠ বা মেটালের খাটের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থাকে কার্ডবোর্ডের এই খাট বানানোর অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। এই সেন্টারে মোট সাড়ে বারো লাখ স্কোয়ার ফিট জায়গা রয়েছে। বাইশটা ফুটবল মাঠের সমান যা। রয়েছে ফ্যান, সিসিটিভি ক্যামেরা। পরিস্থিতি খারাপ হলে প্রায় তিন লাখ আক্রান্তকে এখানে রাখা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- দাউদ ইব্রাহিমের ডান হাত ছোটা শাকিলের প্রিয়জনের মৃত্যু, করোনা সন্দেহ
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এখানে ৫০০ টি বেডের একাধিক মিনি হাসপাতাল তৈরি করার কাজ চলছে। যার মধ্যে ১০ শতাংশ বেডে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। তবে ভেন্টিলেটরের কোনও ব্যবস্থা থাকছে না। আশঙ্কাজনক রোগীদের ক্ষেত্রে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে এখান থেকেই। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জুলাইয়ের শেষে দেশের রাজধানীতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার রেকর্ড হবে। সেই সময় অন্তত এক লাখ মানুষের চিকিৎসার প্রয়োজন পড়বে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে দিল্লির সরকার। প্রতিটি জেলাশাসককে বলা হয়েছে অন্তত কুড়ি হাজার অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করে রাখতে।