ভাটকলের ১২ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ, জেরা চালাবে এনআইএ
দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি ইয়াসিন ভাটকলকে শুক্রবার বিশেষ বিমানে দিল্লি আনা হবে। বৃহস্পতিবারই নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ভাটকলকে। ভারত - নেপাল সীমান্ত থেকে ভারতের একাধিক নাশকতরা মাস্টারমাইন্ড ইয়াসিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
৪টা ৩৫: ধৃত দুই জঙ্গিকেই ১২ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ।
৪টে ৩০: আদালতে ভাটকলের আইনজীবির দাবি ধৃত ব্যক্তি ইয়াসিম ভাটকল নন।
৪টে: দিল্লির আদালতে তোলা হল ভাটকল ও হাড্ডিকে।
বিকেল ৩টে: বৃহস্পতিবার নেপাল সীমান্তে ধৃত ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনের মাটার মাইন্ড কে শুক্রবার দিল্লি নিয়ে আসা হল। পাটনা থেকে বিশেষ বিমানে ধৃত দু'জনকে কড়া নিরাপত্তা রাজধানীতে নিয়ে আসা হয়। গতকাল তাঁদের বিহার মিলিটারি ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল।
ভাটকলের ইতিহাস:
২০১০ দশ সালে পুণের জার্মান বেকারিতে বিস্ফোরণ, এবং বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে বিস্ফোরণের ঘটনাতেও ইয়াসিন জড়িত ছিলেন বলে দাবি এনআইএর। ২০০৯ সালে কলকাতায় জালনোটসহ ধরা পড়েছিলেন ইয়াসিন ভাটকল। এইসময় জামিন পেয়ে পালিয়ে যান তিনি। পরে ২০১০ সালে দুবার বিস্ফোরক নিতে ফের কলকাতায় এসেছিলেন ইয়াসিন। সম্প্রতি কলকাতা পুলিসের এসটিএফ গ্রেফতার করে আনোয়ার মল্লিক নামে জালনোটের এক কারবারিকে। তাকে জেরা করেই ইয়াসিন ভাটকল সংক্রান্ত তথ্য পান এনআইএর গোয়েন্দারা।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ২০১০ সালে পুণের জার্মান বেকারিতে বিস্ফোরণ, এবং বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে বিস্ফোরণের ঘটনাতেও জড়িত ছিলেন ইয়াসিন। ২০০৮ সালে ইয়াসিন ভাটকল অন্য দুজনের সঙ্গে গড়ে তোলেন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠন।
ক দিন আগে এই ইন্দো-নেপাল সীমান্ত থেকেই গ্রেফতার হন দাউদ ঘনিষ্ঠ লস্কর ই তৈবার অন্যতম প্রধান আব্দুল করিম টুন্ডা। টুন্ডাও আগে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হয়ে কাজ করত। ২০১০ সালে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিস্ফোরণেক মূল চক্রী হিসাবে ইয়াসিনের নাম উঠেছিল। দু বছর পর পুণে বিস্ফোরণে যুক্ত ছিলেন ইয়াসিন।