'লটারি' পেয়েছেন? আপনার টাকা সম্ভবত পাড়ি দিয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের কাছে
বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে ১০০কোটি টাকার হাওয়ালা র্যাকেটের সন্ধান পেল আয়কর দফতর। ডেইলি মেলে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এই র্যাকেটের সঙ্গে যোগ রয়েছে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের। ভারতীয় নোটে ভর্তি ৬০টি বস্তা উদ্ধার করেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট টাক্সেস (CBDT)। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী এই টাকা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে পাচার করার পরিকল্পনা চলছিল।
ওয়েব ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে ১০০কোটি টাকার হাওয়ালা র্যাকেটের সন্ধান পেল আয়কর দফতর। ডেইলি মেলে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এই র্যাকেটের সঙ্গে যোগ রয়েছে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের। ভারতীয় নোটে ভর্তি ৬০টি বস্তা উদ্ধার করেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট টাক্সেস (CBDT)। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী এই টাকা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে পাচার করার পরিকল্পনা চলছিল।
ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর দেওয়া তথ্যর উপর ভিত্তি করে তল্লাসি চালিয়েছে আয়কর দফতর। সন্দেহ, ইতিমধ্যেই পাচার হয়ে গেছে ৫০ কোটি টাকা।
সূত্রে খবর, এই টাকা পাচারকারী দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে ডি কোম্পানির। দিল্লির দাবি অনুযায়ী এই মুহূর্তে পাকিস্তানেই রয়েছেন ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ডন দাউদ।
সূত্রে আরও দাবি করা হয়ছে, তামিল নাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গে লটারির টোপ দিয়ে এই টাকা সংগ্রহ করা হয়। এই দুই রাজ্যের টাকা জালিয়াতির মূল হোতাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে অন্ধকার জগতের।
আন্তর্জাতিক টাকা জালিয়াতি দলের সঙ্গে যোগ রয়েছে দুই রাজ্যের বেশ কিছু ব্যবসায়ীরও। দাবি সূত্রের।
''নিজেদের ব্যবসার আড়ালে আসলে টাকা পাচার করে এই ব্যবসায়ীরা। এদের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও ডি কোম্পানির যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে। এরা মূলত ছোট ছোট ব্যবসা করে, কিন্তু আসল লক্ষ্য অর্থ নয়ছয়।'' মন্তব্য এক গোয়েন্দা আধিকারিকের।
সূত্র অনুযায়ী, বিভিন্ন লটারি স্কিমের আড়ালে এই টাকা পাচার নেটওয়ার্ক মূলত পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেছে আইবি। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা চক্রের হদিস দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে সৌদি আরব ও আরব আমিরশাহী হয়ে টাকা পাচার হয় পাকিস্তানে।
জালিয়াতরা তাদের ভারতীয় এজেন্টদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের প্রাথমিক ভাবে জানায় যে তারা লটারিতে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জিতেছেন। এরপর তাদের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়। লটারিতে পাওয়া টাকা হাতে পেতে তাদের এই অ্যাকাউন্টে প্রসেসিং মূল্য জমা দিতে বলা হয়। একবার টাকা জমা পড়লে অ্যাকাউন্ট উইথড্রো করা হয়। তারপর এই টাকা হাওলার মাধ্যমে পাকিস্তানে পাড়ি দেয়।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই ধরণের ১,১৬২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সনাক্ত করেছে।