নিজেই কেটেছিলেন দাড়ি, দোষ চাপিয়েছিলেন ট্রেনে থাকা দুষ্কৃতীদের ঘাড়ে, ধরা পড়ে ক্ষমা চাইলেন যুবক
ফাহরুখকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বাগপতের পুলিস সুপার প্রতাপ গোপেন্দ্র যাদব। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়ে ফাহরুখ। জানান, নিজের ইচ্ছাতেই দিল্লি গিয়ে দাড়ি কেটে ফেলেছিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির গরম সহ্য করতে পারছিলেন না বলে কেটে ফেলেছিলেন দাড়ি। বাড়ি ফিরে ধর্মীয় মাতব্বরদের রোষ থেকে বাঁচতে ফেঁদেছিলেন অন্য গল্প। বলেছিলেন, ট্রেনে জোর করে দাড়ি কেটে দিয়েছে কিছু দুষ্কৃতী। পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদের সামনে পড়ে যদিও তাঁর মিথ্যে ফাঁস হয়ে যায়। শেষে ক্ষমা চাইতে হয় তাঁকে। ঘটনা উত্তর প্রদেশের বাগপতের।
বাগপতের মুগলপুরার বাসিন্দা মহম্মদ ফাহরুখের ছেলে মুন্না গত বৃহস্পতিবার দিল্লিতে গিয়েছিলেন। সেখানে সেলুনে গিয়ে দাড়ি কেটে ফেলেন তিনি। সেদিনই গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়িতে ঢোকার আগে নিজেই ছেঁড়েন নিজের পোশাক। দাড়ি কাটায় পরিবার ও ধর্মীয় মাতব্বরদের রোষের মুখে পড়তে হতে পারে আশঙ্কায় গল্প ফাঁদে সে। জানায়, ট্রেনে কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে মারধর করে দাড়ি কাটতে বাধ্য করে।
৬ বছরে রেকর্ড পতন, এক ধাক্কায় ৫ শতাংশে নেমে এল জিডিপি বৃদ্ধির হার
ফাহরুখের ওপর এই নির্যাতনের কথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিআইজিরে টুইট করে জানান তাঁরই এক আত্মীয়। ঘটনার কথা এলাকায় ছড়লে চাঞ্চল্য বাড়ে। তদন্তে নামে উত্তর প্রদেশ পুলিস। ফাহরুখকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বাগপতের পুলিস সুপার প্রতাপ গোপেন্দ্র যাদব। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়ে ফাহরুখ। জানান, নিজের ইচ্ছাতেই দিল্লি গিয়ে দাড়ি কেটে ফেলেছিলেন তিনি। সমাজের সমালোচনার মুখে পড়ার ভয়ে বাড়ি ফিরে মিথ্যে কথা বলেছিলেন তিনি।
গুজব ছড়ানোর অপরাধ স্বীকার করে এর পর পুলিস কর্মীদের সামনে হাত জোড় করে ও কান ধরে ক্ষমা চান তিনি।