নিরাপদ নয় জ়ুম অ্যাপ, অধিকাংশ সার্ভার চিনে, সতর্ক করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় সারা বিশ্ব লকডাউনের আওতায় রয়েছে। গৃহবন্দি কোটি কোটি মানুষ। বন্ধ স্কুল, কলেজ, অফিস। লকডাউনের এই দিনগুলোয় তাই ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমেই চলছে কাজ থেকে আড্ডা।  "জুম"(Zoom) মিটিং অ্যাপ ভিডিয়ো কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু  এবার সরকার জানিয়ে দিল, এই অ্যাপ মোটেই নিরাপদ নয় ভিডিয়ো বৈঠক করার জন্য।

লকডাউনের দরুন তুঙ্গে এই অ্যাপের জনপ্রিয়তা। আগে এই অ্যাপকে দৈনিক যে সংখ্যক মানুষ ব্যবহার করতেন, এখন তার প্রায় ২০ গুণ মানুষ দৈনিক এই মাধ্যম ব্যবহার করেন এখন। পড়াশোনা থেকে সংবাদমাধ্যমের প্যানেল ডিসকাশন সবই এখন জুমের ওপর অনেক ক্ষেত্রে নির্ভরশীল। যাঁরা জুম ব্যবহার করতে চাইবেন তাঁদের জন্য বৃহস্পতিবার একটি গাইডলাইন দেওয়া কেন্দ্র। ওই নির্দেশিকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, "জুম একেবারেই নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম নয়, এমনকী ব্যক্তিগত ব্যবহারের ক্ষেত্রেও।

নির্দেশিকায়  সিইআরটি-ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এই গাইডলাইন মানলে জুম অ্য়াপে অবৈধ এন্ট্রি রোখা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ভাইরাসের ভয়ও দূর হবে। ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড ও প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের ক্ষেত্রটি সীমাবদ্ধ করে গোপনীয় তথ্যও সরক্ষিত রাখা যাবে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি মিটিংয়ের জন্য নতুন ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। "জয়েন বিফোর হোস্ট" এই পদ্ধতিটি বন্ধ করে রাখতে হবে। প্রয়োজন না থাকলে "ফাইল ট্রান্সফার" বন্ধ করে রাখতে হবে। একবার প্রয়োজনীয় সদস্যরা মিটিংয়ে চলে এলে, "লক মিটিং" করে দিতে হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন আধিকারিক বলেছেন, "ব্যবসা  কিংবা সরকারি ক্ষেত্রে অথবা অন্য কোনও ক্ষেত্র যেখানে গোপনীয়তা একান্ত প্রয়োজন সেখানে এই সফটওয়্যারটি একেবারেই নির্ভরযোগ্য নয়।" তিনি জানিয়েছেন টিকটকের মতো জুমেরও অধিকাংশ সার্ভার চিনে অবস্থিত। এই অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।