`জঙ্গলগড়ের` দুর্গাপুজো

কলকাতার মানুষের জঙ্গলের পুজো ছাপিয়ে একেবারে জঙ্গলমহলের পাশের পুজো। ১৪৬ বছরের পুরনো এই পুজোয় ভক্তি আর নিষ্ঠার গন্ধ ছড়িয়ে আছে। সেই গন্ধের সন্ধান দনিত পড়ুন।

Updated By: Oct 8, 2013, 12:50 PM IST

কলকাতার মানুষের জঙ্গলের পুজো ছাপিয়ে একেবারে জঙ্গলমহলের পাশের পুজো। ১৪৬ বছরের পুরনো এই পুজোয় ভক্তি আর নিষ্ঠার গন্ধ ছড়িয়ে আছে। সেই গন্ধের সন্ধান দনিত পড়ুন।
রোহিণীগড়ের দুর্গাপুজো
ঝাড়গ্রাম মহকুমার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণীগড়ের এই দুর্গাপুজো আজও সবার কাছে ভক্তি আর নিষ্ঠার সেরা নির্দশন। এ বার এই পুজোর ১৪৬ বছরে পা দিচ্ছে।
পুজো কবে শুরু-১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে (১২৭৪ বঙ্গাব্দ) জমিদার অক্ষয়নারায়ণ ষড়ঙ্গীর হাত ধরে শুরু।
পরম্পরা-অক্ষয়নারায়ণ ষড়ঙ্গীর পর তাঁর পুত্র লক্ষ্মীনারায়ণ ষড়ঙ্গী পুজোর দায়িত্ব নেন। অপুত্র লক্ষ্মীনারায়ণ ষড়ঙ্গীর মেয়ে শৈলবালার হাতে পরার পর এই পুজো আলাদা মাত্রা লাভ করে। নগেন্দ্রনাথের পৌত্র সোমনাথ মহাপাত্র এখন পুজোর দায়িত্বে।
খরচ- দেবী দুর্গার দেবত্র সম্পত্তি থেকেই পুজোর খরচ বহন করা হয়। আগে পুজো হত তন্ত্রমতে। এখন হয় বৈষ্ণবমতে। ২০ জন ব্রাহ্মণ পুজোর দায়িত্ব পালন করেন।
পুজোর বৈশিষ্ট্য
মহাসপ্তমীর দিন হোমকুণ্ডে রোদের উপর আতশকাচ ফেলে অগ্নিপ্রজ্জ্বলন করা হয়। টানা চলতে থাকা হোমের পূর্ণাহুতি দেওয়া হয় দশমীর দিন। ওই দিনই ঘট বিসর্জনের পর হয় অপরাজিতা পুজো। দশমীর দুপুরে ডুলুং নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের পর একটি কলাগাছকে রাবণ কল্পনা করে অনুষ্ঠিত হয় রাবণ-বধ। বংশানুক্রমে শবর সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি কলাগাছ লক্ষ্য করে তির নিক্ষেপ করেন।

রোহিণীগড়ের পুজোয় আগে সপ্তমী থেকে নবমী ন’টি ছাগলবলি হত। এখন পশুর পরিবর্তে দেবীকে গোটা ডাব উত্‍সর্গ করা হয়।

.