Bhimsen Joshi: ১ চামচ ঘিয়ের জন্য মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে খালি পেটে খালি পকেটে গানের দেশে যাত্রা

২০১১ সালে আজকের দিনে, এই ২৪ জানুয়ারি ভীমসেন জোশীর মৃত্যু।

| Jan 24, 2022, 16:14 PM IST

২০১১ সালে আজকরে দিনে, এই ২৪ জানুয়ারি ভীমসেন জোশীর মৃত্যু। ভারতীয় মার্গ সঙ্গীত বা হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী তিনি। তিনি ধ্রুপদী সঙ্গীত খেয়াল গায়ক হিসাবে বেশি পরিচিত। এ ছাড়াও ভজন, ঠুংরি, দাদরার মতো শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যান্য ধারাতেও ছিল তাঁর সহজাত। ১৯৭২ সালে পদ্মশ্রী, ১৯৭৫ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি, ১৯৮৫ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০০৮ সালে ভারত সরকার তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার 'ভারত রত্ন' দেয়। গান গেয়েছেন হিন্দি, কন্নড়, মরাঠির মতো একাধিক ভাষার চলচ্চিত্রেও। 

1/6

হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী

২০১১ সালে আজকরে দিনে, এই ২৪ জানুয়ারি ভীমসেন জোশীর মৃত্যু। ভারতীয় মার্গ সঙ্গীত বা হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী তিনি। তিনি ধ্রুপদী সঙ্গীত খেয়াল গায়ক হিসাবে বেশি পরিচিত। এ ছাড়াও ভজন, ঠুংরি, দাদরার মতো শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যান্য ধারাতেও ছিল তাঁর সহজাত। ১৯৭২ সালে পদ্মশ্রী, ১৯৭৫ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি, ১৯৮৫ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০০৮ সালে ভারত সরকার তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার 'ভারত রত্ন' দেয়। গান গেয়েছেন হিন্দি, কন্নড়, মরাঠির মতো একাধিক ভাষার চলচ্চিত্রেও।

2/6

ওস্তাদ আব্দুল করিম খাঁ প্রভাবিত

ভীমসেন যোশীর বয়স তখন বড়জোর ১১। ওস্তাদ আব্দুল করিম খাঁ সাহেবের প্রথম রেকর্ড শুনেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, গান শিখলে, এরকমই শিখতে হবে। আর তার জন্য যা দরকার করতে হবে। ভীমসেন যোশী গানের খোঁজে ঘর পালান। তখন শোনা যেত-- গোয়ালিয়র গানের দেশ। সেখানে বড় বড় ওস্তাদরা থাকেন, সারাদিন ভালো গান-বাজনা হয়। গান শোনা যায়, রেওয়াজ শোনা যায়। ভীমসেন তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন, যেতে হবে গোয়ালিয়র। সেই সিদ্ধান্ত তো নিজে নিলেই হবে না, বাড়ির সবাইকে মানতে হবে। বিশেষ করে বাবাকে মত করাতে হবে। গোয়ালিয়র যাওয়ার অনেক খরচ। সেখানে থাকা-খাওয়ার খরচ আছে, গুরুদক্ষিণা আছে। কিন্তু তিনি জানতেন বাবা মানবেন না। তাই অগত্যা পালানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। এক চামচ ঘিয়ের জন্য মায়ের সাথে ঝগড়া করে, খালি পেটে, খালি পকেটে – গানের দেশে যাত্রা। প্রায় ২ মাস পরে পৌঁছন গোয়ালিয়র। ওস্তাদ হাফিজ আলি খানের কাছে।  

3/6

ভীমসেন যোশীর ছেলেমানুষিও

ভীমসেন যোশীর ছেলেমানুষিও ভুবনবিদিত। যেমন পণ্ডিতজি কত পুরনো লোক, এ কথা বোঝাতে গিয়ে বলতেন-- ওহে, আমি বেগম আখতারের গান তখন শুনেছি, যখন ও দাঁড়িয়ে গাইত! দাঁড়িয়ে গাইত মানে? ভীমসেন বলেন-- আরে, আগে লোকে দাঁড়িয়ে গাইবার সুযোগ পায়। সেই স্তর থেকে উত্তরণ ঘটলে তবে বসে জুত করে গানের সুযোগ মেলে। বেগমকে যখন থেকে চিনি, তখন ও দাঁড়িয়ে গাইত।

4/6

কল্যাণ ঠাট

সঙ্গীত সমালচকেরা বলে থাকেন, কল্যাণ ঠাটের রাগগুলিতেই যোশীজিকে যেন সব চেয়ে স্বকীয় ব্যক্তিত্বে প্রভাসিত বলে মনে হয়। মনে হয় তিনি যেন পুজোয় বসেছেন, পুজো করছেন।

5/6

শুনে পাহাড়ী সান্যাল থ

শোনা যায়, ভীমসেন প্রখ্যাত অভিনেতা পাহাড়ী স্যান্যালের কলকাতার বাসায় ছোকরা চাকর ছিলেন! একবার কলকাতার এক অনুষ্ঠানে সামনের সিটে বসে পাহাড়ী সান্যাল। পাহাড়ী সান্যালের পক্ষে মনে রাখা সম্ভব ছিল না, এই ভীমসেনই একদা তাঁর গৃহপরিচারক ছিল। কিন্তু ভীমসেন তো বিখ্যাত পাহাড়ী সান্যালকে ভোলেননি! অনুষ্ঠান শেষে তিনি উঠে এসে পাহাড়ীকে সেই আগের কথা বলেন। শুনে পাহাড়ী সান্যাল তো থ!

6/6

ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের এক বিস্ময়

ভীমসেন ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের এক বিস্ময়। তিনি ভারতীয় উচ্চাঙ্গ গানের সীমানা অনেকদূর বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর কণ্ঠের সুষমায় ভরে উঠত শ্রোতার কান-মন-প্রাণ। তিনি যেন এক দীপ্ত প্রাণ, এক উজ্জ্বল সুর।