৩০০০ জনকে ছুঁতে পারেনি Corona, রক্ষা করছেন ৪৩ টি গ্রামকেও, জানেন ওঁদের রক্ষাকবচ কী?

Jun 01, 2021, 13:48 PM IST
1/11

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় দেড় বছর অতিবাহিত, এখনও ওঁদের ছুঁতে পারেনি করোনা, এমনটাই দাবি তামিলনাড়ু কোয়েম্বাটর  ইশা ফাউন্ডেশনের আশ্রমের সদস্যদের। তাঁদের প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। তাঁরা ৪৩ টি গ্রামকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করে আসছেন, বলেও জানিয়েছে। কীভাবে সম্ভব হচ্ছে? মারণ ভাইরাস করোনার সামনে কোন রক্ষাকবচ তাঁরা বেঁধেছেন?

2/11

এক জাতীয় সংবাদ মাধ্যমকে তারা জানিয়েছে, লকডাউনের প্রোটোকল কঠোরভাবে পালন করেছেন তাঁরা। বাইরে থেকে কোনও মানুষকে তাঁদের আশ্রমে  ও গ্রামে ঢুকতে দেয়নি। বাইরের যাবতীয় কাজ তাঁরা বন্ধ করেছেন।

3/11

আশ্রমের মধ্যে যদি কাউকে মাস্ক ছাড়া কখনও দেখা গিয়েছে তাঁকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়েছে, ২ ঘণ্টা ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়াও, শরীরের তাপমাত্রা দেখা, স্যানিটাইজেশন থেকে শুরু করে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা হয়েছে সর্বক্ষণ। 

4/11

রোজকার কাজ হিসাবে যোগ ব্যায়াম বাধ্যতামূলক। রোজ প্রত্যেক সদস্যকে নিয়ম করে 'Simha Kriya' প্রাণায়ম করতে হচ্ছে। যা ফুসফুসের কার্য ক্ষমতা বাড়ায়। এমনকি ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলে। 

5/11

এছাড়া আশ্রমের সদস্যরা ব্যস্ত রয়েছেন, বাগান পরিচর্যা, চাষ-আবাদ, লেখালিখি, ডিজাইন, গান তৈরি সহ আরও নানা কাজে। 

6/11

আশ্রমের বাকি সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা যে সর্বক্ষণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকেন, সেটি ভাইরাস তাঁদের ছুঁতে না পারার অন্যতম কারণ। দিনে দু-বার তাঁরা কাঁচা সবজি ও ফলমূল খেয়ে থাকেন। 

7/11

রোজ ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ আশ্রমের সকলে নিম পাতা, হলুদ গরম জলে দিয়ে পান করেন। এরপর দিনে দুবার নির্দিষ্ট সময়ে আশ্রমের তৈরি 'Nilvembu Kashayam'  খান  আশ্রমের সদস্যরা। খালি পেটে খেতে হয় এই আয়ুর্বেদিক পানীয়।

8/11

সঙ্কটকালে এই স্বেচ্ছাসেবকদের থেকে ৪৩ টি গ্রাম উপকার পাচ্ছে। গ্রামেও তেমন ভাবে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি বলে জানাচ্ছেন আশ্রমের সদস্যরা। 

9/11

তাঁদের তৈরি ১৫টি ভেষজে তৈরি  আয়ুর্বেদিক পানীয়, সকাল ১১ টা নাগাদ গোটা গ্রামের বাসিন্দাদের দেওয়া হয়। তাঁদেরকেও যোগ ব্যায়াম করানো হয়। কোভিড প্রোটোকল পালন করতে বাধ্য করা হয়।  প্রায় ৯০ হাজার  মানুষের  দেখভাল করছেন তাঁরা। 

10/11

এভাবেই করোনাকে এখনও পর্যন্ত গা ঘেঁষতে দেওয়া হয় নি বলে দাবি আশ্রমের সদস্যদের । 

11/11