পুলওয়ামা হামলার সময় কী করছিলেন মোদী? বেরিয়ে এল সত্যি

Feb 23, 2019, 21:53 PM IST
1/10

পুলওয়ামা হামলার তিন ঘণ্টা পরেও করবেট জাতীয় উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। 

2/10

কংগ্রেসের দাবি, গোটা দেশ জওয়ানদের উপরে হামলার ঘটনায় শোকস্তব্ধ, ঠিক তখন করবেট জাতীয় উদ্যানে শ্যুটিং করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধে সাড়ে ৬ পর্যন্ত শ্যুটিং করেছিলেন। হামলার চার ঘণ্টা পরেও নিজের ব্র্যান্ডিং, ফটোশ্যুট নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন মোদী। রণদীপ সুরজেওয়ালা অভিযোগ করেন, ৩.১০ নাগাদ পুলওয়ামার সেনার উপরে হামলা হয়। তারপর রামপুর গেস্ট হাউসে স্ন্যাক্স খাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও একই অভিযোগ তোলেন টুইটারে। বেশ কিছু ছবিও আপলোড করেন। 

3/10

কিন্তু সত্যিই কী তাই? বাস্তব বলছে, কংগ্রেসের প্রতিটি অভিযোগই ভিত্তিহীন। হামলার ৩-৪ ঘণ্টা পরে করবেট জাতীয় উদ্যানে শ্যুটিং করেননি প্রধানমন্ত্রী। আর এজন্য প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফরসূচি খতিয়ে দেখা হয়েছে। 

4/10

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতার জন্য শ্যুটিং করছিলেন করবেট জাতীয় উদ্যানে। তবে ৪টের আগেই তিনি সেখান থেকে চলে যান। 

5/10

বিস্ফোরণ ৩.১০ মিনিটে ঘটেনি (কংগ্রেসের দাবি)। বরং পুলওয়ামায় ৩.৩৩ মিনিট নাগার ঘটেছিল আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। ফলে কংগ্রেসের অভিযোগের গোড়াতেই গলদ। বিস্ফোরণ হলে সেই খবর সঙ্গে সঙ্গে আসে না। সময় লাগে। সুতরাং বিস্ফোরণের সময়ে করবেট জাতীয় উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী থাকলেও তাঁর পক্ষে খবর নেওয়া সম্ভব নয়।   

6/10

প্রধানমন্ত্রী নৌকোবিহারের ছবি রাহুল গান্ধী টুইট করেছেন। একই ছবি ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকেতু ব্যাস নামে এক বিজেপি নেতা টুইট করেছিলেন দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে। ফলে ছবিটি কোনওভাবেই হামলার পরে তোলা নয়। 

7/10

সন্ধে ৬.৪৫ মিনিটে সিঙাড়া বা চায়ের কোনও অর্ডারই দেননি প্রধানমন্ত্রী। ইন্ডিয়া টুডে-র দাবি, পুলওয়ামা হামলার পর কোনও খাবার মুখেই তোলেননি প্রধানমন্ত্রী।   

8/10

ঘটনার সময় দিল্লিতে ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা সম্ভব ছিল না। রামপুর থেকেই ফোনের মারফত্ যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। 

9/10

বিকেল ৪ থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদী পরিস্থিতির উপরে নজর রেখেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এমনকি রুদ্রপুরে প্রচুর মানুষের জমায়েত হলেও সভায় যাননি প্রধানমন্ত্রী। বাতিল করেছিলেন ওই সভা। কিন্তু প্রচুর মানুষ আসায় ৫.১৫ মিনিট নাগাদ ৫-৭ মিনিটের জন্য ফোনেই ভাষণ দিয়েছিলেন। 

10/10

এরপর সড়ক পথ ধরে বরেলির দিকে চলে যায় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। সেখান থেকে বিমান ধরে সোজা দিল্লি। এরপর আরও একঘণ্টা পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন মোদী।