এই বনমহোৎসবেই ঘুরে আসুন হাতের কাছের বর্ষাভেজা অরণ্য

চলছে অরণ্য় সপ্তাহ, চলছে বর্ষাও। ফলে দুয়ে দুয়ে চার করেই ফেলা যায়। অরণ্য সপ্তাহের এই আবহে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন বর্ষাভেজা অরণ্য। এমন অরণ্য যা রয়েছে হাতের কাছেই।

| Jul 17, 2022, 14:35 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  চলছে অরণ্য় সপ্তাহ, চলছে বর্ষাও। ফলে দুয়ে দুয়ে চার করেই ফেলা যায়। অরণ্য সপ্তাহের এই আবহে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন বর্ষাভেজা অরণ্য। এমন অরণ্য যা রয়েছে হাতের কাছেই। 

কলকাতার একেবারে হাতের কাছে রয়েছে নরেন্দ্রপুর এলাকার চিন্তামণি করা পাখিরালয়। আর শহর ছেড়ে একটু বেরলেই তো বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য, আরও একটু পা বাড়ালেই ঝাড়গ্রাম। সেখানে শাল-জঙ্গলের বিপুল সমাহার। ঘুরে আসতে পারেন ঝাড়গ্রাম-শালবনি-গিধনি, কাঁকড়াঝোর, হাতিবাড়ি কিংবা সুন্দরবনের বনাঞ্চল। 

1/6

কয়ালের বাগান

নানা রকম গাছপালার সঙ্গে সঙ্গেই পাখি প্রজাপতির এক বড়সড়ো আবাস এই জঙ্গল, রয়েছে কলকাতার একেবারে হাতের কাছেই। 'চিন্তামণি কর বার্ড স্যাঙ্চুয়ারি'। মানুষ অবশ্য এটিকে চেনেন 'কয়ালের বাগান' হিসেবেই। ভাস্কর চিন্তামণি কর এই বাগানটিকে বাঁচানোর জন্য দীর্ঘ দিন লড়াই করেছিলেন। তাই প্রথমে এটির নরেন্দ্রপুর ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঙ্চুয়ারি নাম থাকলেও পরে তা বর্তমান নাম পায়। পাখি প্রজাপতির পাশাপাশি মাকড়সার জন্যও বিখ্যাত এই বনস্থলী। উইকেন্ডে পিকনিক করার জন্য় আদর্শ। আদর্শ একবেলার জন্য জঙ্গল উপভোগের সাধ থাকলেও। 

2/6

অন্য মাদকতা

বাঙালির অতি প্রতি ফরেস্ট ডেস্টিনেশন ঝাড়গ্রাম। এ কথা সত্যিই, ঝাড়গ্রামের প্রকৃতি-পরিবেশের মধ্য়েই একটা অন্যরকম আমেজ আছে, আছে একটা মাদকতা। সন্দেহ নেই এই বর্ষায় তা আরও মোহময়ী হয়ে উঠবে। শহর-ঝাড়গ্রামটুকু ছাড়ালেই দারুণ সবুজ। আরও একটু যেতে পারলে গিধনি, বেলপাহাড়ির মতো জায়গা আছে চোখ ও মন জুড়িয়ে দেবে অনায়াসে। 

3/6

বন্য আদিমতা আজও

ঝাড়গ্রাম থেকে যাওয়া চলে। সম্পূর্ণ আলাদা ভাবেও যাওয়া চলে এই কাঁকড়াঝোর। অসাধারণ একটা বন্য আদিমতা আজও মেলে সেখানে। বনপাহাড় নদীজলের আনন্দভূমি, বনপর্যটনের অন্যতম সেরা গন্তব্য।

4/6

বিষ্ণুপুরের অনেকটা আগেই

মানুষ মুকুটমণিপুর যান, ঝিলিমিলি যান, পুরুলিয়া যান; কিন্তু ওই পথেই পড়ে জয়পুর অভয়ারণ্য। খুব কম জনই তার খোঁজ রাখেন। কামারপুকুর-জয়রামবাটি ছাড়িয়ে বাঁকুড়ার আরও গভীরে যেতে গিয়ে বিষ্ণুপুরের অনেকটা আগেই আপনি পেয়ে যাবেন এই বনভূমি। ততটা চর্চিত নয়, কিন্তু সৌন্দর্যে কমতি নেই। 

5/6

মুকুটমণিপুর যেন স্বর্গরাজ্য

ভোরবেলার মুকুটমণিপুর যেন স্বর্গরাজ্য। ব্রাহ্মণী ও কংসাবতী নদীর সঙ্গমস্থলে এক বিশাল মাটির বাঁধ। সেই বাঁধের একধারে রূপসী জলাধার, অন্য পাশে অরণ্য ও বনপথরেখা। এই বর্ষায় অপূর্ব লাগবে এই অঞ্চল। 

6/6

সুন্দরবন

কলকাতার হাতের কাছেই আর এক দারুণ জঙ্গল-মহল সুন্দরবন। নোনাজলের এলাকা। সুন্দরী গাছের আড্ডা। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আস্তানা। কলকাতা থেকে যেতে ৩-৪ ঘণ্টা লাগে। এই সামান্য সময়টুকু পেরোলেই একেবারে ভিন্ন জগতে।