IPL 2022: ছবিতে দেখুন ক্রোড়পতি লিগের সেরা ১০ বিতর্কিত ও চমকে দেওয়া ঘটনা

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আইপিএল-এর সেরা দশ বিতর্কিত ঘটনা।   

| Mar 19, 2022, 21:14 PM IST

নিজস্ব প্রতিবেদন: আবির্ভাবের বছর থেকেই আইপিএল (IPL) যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনই ক্রোড়পতি লিগ ঘিরে একেরপর এক বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। প্রতিযোগিতায় প্রচুর টাকার হাতছানি, রাতের পার্টি, উদ্দাম নাচ-গান, চিয়ার লিডারদের দাপাদাপি সহ একাধিক বিতর্কে নানা সময়ে উত্তপ্ত হয়েছে আইপিএল। যত দিন গিয়েছে জনপ্রিয়তা ও জৌলুসের সঙ্গে আইপিএল ঘিরে বেড়েছে বিতর্ক। ২৬ মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে পঞ্চদশ আইপিএল। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আইপিএল-এর সেরা দশ বিতর্কিত ঘটনা। 

1/10

স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য নির্বাসিত শ্রীসন্থ, অঙ্কিত চৌহান ও অজিত চান্ডিলা

Sreesanth, Ankit Chavan and Ajit Chandila exiled for spot-fixing

২০১৩ সালে রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটার শ্রীসন্থ, অঙ্কিত চৌহান ও অজিত চান্ডিলাকে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তিনজনের বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। শ্রীসন্থ এক ওভারে ১৪ রান দিয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল সেই ওভারের শুরুতে রুমাল চেয়ে পাঠান শ্রীসন্থ, যার ফলে বুকির কাছে সঙ্কেত যায় যে এই ওভারটিই গড়াপেটা হতে চলেছে। সেই ওভারে শ্রীসন্থ ১৩ রান দেন। শ্রীসন্থের আরও দুই সতীর্থ অঙ্কিত ও অজিতের বিরুদ্ধে গড়াপেটার অভিযোগ তোলা হয়। দীর্ঘ আট বছর নির্বাসনে থাকার পর শ্রীসন্থের উপর নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়েছে। কেরলের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন এই জোরে বোলার।  

2/10

চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসকে দুই বছরের নির্বাসন

Chennai Super Kings and Rajasthan Royals in ban for two years

২০১৩ সালের ম্যাচ ফিক্সিং বিতর্কের পর উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে বিসিসিআই। সেখানেই উঠে আসে তদানীন্তন বিসিসিআই সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মেইয়াপ্পন চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচে বেটিং করেছেন। এ দিকে রাজস্থান রয়্যালসের অন্যতম মালিক রাজ কুন্দ্রাও বেটিংয়ে দোষী সাব্যস্ত হন। পরে তিনি নিজের দোষ স্বীকারও করেন। এই ঘটনার জেরে চেন্নাই ও রাজস্থান রয়্যালসকে দুই বছরের জন্য নির্বাসিত করেছিল বোর্ড। ২০১৮ সালে ফের আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই ও রাজস্থান। 

3/10

কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে ছাঁটাই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

Sourav Ganguly for ousted Kolkata Knight Riders

২০০৮-২০১১ সাল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে ২০০৮ সালে তৎকালীন কোচ জন বুকাননের 'মাল্টিপল ক্যাপ্টেন্স থিওরি'-র জন্য মহারাজের সঙ্গে তাঁর বিরোধীতা প্রকাশ্যে এসেছিল। এরপরের বছর সৌরভ দলের পূর্ণ দায়িত্ব পেলেও পারফরম্যান্সের উন্নতি হয়নি। ফলে ২০১২ সালের নিলামে বেহালার বাঁহাতি অবিক্রিত রয়ে যান। এরপরেই গোটা বাংলা ও ইডেন গার্ডেন্স চত্ত্বর জুড়ে 'নো দাদা নো কেকেআর' স্লোগান উঠেছিল। 

4/10

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নির্বাসিত শাহরুখ খান

Shah Rukh Khan banned from Wankhede Stadium

কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে ২০১২ সালের ১৬ মে ওয়াংখেড়ের মাঠে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন শাহরুখ খান। অভিযোগ ছিল, ম্যাচ শেষের পরে মদ্যপ শাহরুখ অশ্লীল আচরণ করেন। যদিও শাহরুখের বক্তব্য ছিল, মাঠে থাকা তাঁর বাচ্চা ও পরিজনদের সঙ্গে সঠিক আচরণ করেননি নিরাপত্তারক্ষীরা। সেটা ঠেকাতেই তিনি মাঠে ঢোকেন। এর ফলে পাঁচবছর শাহরুখের ওয়াংখেড়েতে ঢোকা ব্যান করে দেওয়া হয়।

5/10

বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীর ঝামেলা

Fight between Virat Kohli and Gautam Gambhir

সালটা ২০১৩। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আইপিএল-এর খুনখারাপি ম্যাচে কেকেআর বনাম আরসিবি। ম্যাচের দশ নম্বর ওভারে আউট হয়ে সাজঘরের ফেরার বদলে সেদিন বিরাট কোহলি এগিয়ে গিয়েছিলেন এক্সট্রা কভারের দিকে। যেখানে দাঁড়িয়ে কেকেআর-এর নেতা গৌতম গম্ভীর। বিরাট কিছু একটা বলতেই গম্ভীর তেড়ে যান তাঁর দিকে। পাল্টা মারমুখী হয়ে ওঠেন বিরাটও। কী হচ্ছে বা হতে পারে, তা বুঝতেই সময় চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভর্তি দর্শক। 

6/10

হরভজন-শ্রীসন্থ 'স্ল্যাপ-গেট' বিতর্ক

Harbhajan Singh slapped Sreesanth

২০০৮ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তৃতীয় ম্যাচের শেষে ক্রিকেটাররা হাত মেলানোর সময়ে হরভজন সিং চড় মেরে বসেন শ্রীসন্থকে। ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী শ্রীসন্থ কোনওরকম প্ররোচনাও দেননি। হরভজন তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থ শ্রীসন্থকে চড় মেরে বাকীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলে যান। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে ফেলেন শ্রীসন্থ। সেই ঘটনার পরে হরভজনকে বাকী আইপিএলের জন্য ব্যান করে দেওয়া হয়। এই ব্যানের বিরুদ্ধে কোনওরকম আবেদনও জানাননি হরভজন। বলা যেতে পারে আইপিএল-এর উদ্বোধনী বছরের সবচেয়ে বড় বিতর্কিত ঘটনা ছিল সেটাই। 

7/10

বহিষ্কার ললিত মোদী

Lalit Modi's expulsion from IPL

আইপিএল যার মস্তিষ্কপ্রসূত, সেই ললিত মোদীকে ২০১০ সালে আইপিএল কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে এখনও তদন্ত চলছে। ললিতকে সরানোর পরে বিসিসিআই তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, বিডিংয়ের সময়ে রিগিং করেছিলেন ললিত মোদী। এরপরে ২০১৩ সালে ললিতকে বিসিসিআই থেকে বহিষ্কার করা হয়। এমনকি সেই ঘটনার পর থেকে আর দেশেও ফিরে আসেননি ললিত মোদী।   

8/10

রবিচন্দ্রন অশ্বিন - জশ বাটলার 'মানকেড' কান্ড

R Ashwin’s controversial run out of Jos Butler triggers heated debate on ‘Mankading’

২০১৯ সালের আইপিএল-এ সেটাই ছিল অন্যতম বড় বিতর্ক। রবিচন্দ্রন অশ্বিন বল করার আগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান জশ বাটলার। এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে স্টাম্প ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন পঞ্জাব কিংসে খেলা এই অফ স্পিনার। দুই ক্রিকেটার তীব্র কথাকাটাকাটিতেও জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুটা অবাক হলেও নিয়ম মেনে বাটলারকে সাজঘরে ফিরে যেতে হয়। সেই আউট নিয়ে অনেক বির্তক হয়েছিল। অশ্বিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন একাধিক ক্রিকেট বিশেষঙ্গ। তবে বিতর্কে জড়ালেও বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক প্রাক্তনকে পাশে পেয়েছিলেন অশ্বিন। তবে এ বারের আইপিএল শুরু হওয়ার আগে অশ্বিন ও ক্রিকেট দুনিয়ার অন্য বোলাররা স্বস্তি পেয়েছেন। কারণ এই বহু বিতর্কিত 'মানকেডিং'-এর অবলুপ্তি ঘটিয়েছে এমসিসি।    

9/10

রবিচন্দ্রন অশ্বিন, টিম সাউদি ও অইন মর্গ্যান ঝামেলা

Big fight between Ravichandran Ashwin, Tim Southee, Eoin Morgan

চলতি আইপিএল-এ কলকাতা বনাম দিল্লির ম্যাচের মাঝে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন অইন মর্গ্যান এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সে সময় দুই ক্রিকেটাদের বাদানুবাদে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসেন দীনেশ কার্তিক। দিল্লির ইনিংসের শেষ ওভারে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে আউট হন অশ্বিন। ফেরার সময় কেকেআর বোলার টিম সাউদির উদ্দেশে কিছু বলেন। সেই শুনেই মর্গ্যান এগিয়ে আসেন এবং পাল্টা উত্তর দেন অশ্বিনকে। অশ্বিনও ছাড়াও পাত্র নন। তিনিও প্রত্যুত্তর দেন মর্গ্যানকে। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল। এমন সময় কার্তিক এসে সামাল দেন। দুই ক্রিকেটারকেই সরিয়ে দেন তিনি। তবে বিতর্ক সেখানেই থামেনি। ম্যাচের শেষে অশ্বিনকে খোঁচা দিয়ে ট্যুইট করেছিলেন মর্গ্যান। এর জবাবে লাগাতার ছয়টা ট্যুইট করে পাল্টা দিয়েছিলেন অশ্বিন। 

10/10

ওয়েন পার্নেল ও রাহুল শর্মা রেভ পার্টি থেকে গ্রেফতার

Wayne Parnell and Rahul Sharma arrested from Rev Party

২০১২ সালে মুম্বইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলে হানা দিয়ে একশো গ্রাম কোকেন-সহ বিভিন্ন মাদক উদ্ধার করেছিল পুলিস। ধরা পড়েছিলেন দুই ক্রিকেটার রাহুল শর্মা এবং ওয়েন পার্নেল। দুজনেই তখন সাহারা পুণে ওয়ারিয়র্স দলের হয়ে খেলতেন। সেই ঘটনায় প্রায় শতাধিকের বেশি যুবক-যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়। ম্যাচ ফিক্সিং, সংঘর্ষ, শ্লীলতাহানির পর মাদক কাণ্ডেও জুড়ে গিয়েছিল ক্রোড়পতি লিগ। যদিও রাহুল শর্মা দাবি করেছিলেন তিনি নাকি রেভ পার্টিতে ছিলেন না। তবে সেই ঘটনার পর দুই ক্রিকেটারের কেরিয়ার থমকে যায়।