Kankalitala: মহাপ্রাপ্তি! ভক্তেরা এবার থেকে দেখতে পাবেন, স্পর্শ করতে পারবেন মা কঙ্কালীর রক্তচরণযুগল...

Kankalitala | 51 Shakti Pithas: আগে এই জায়গার নাম ছিল কাঞ্চী। এখন কঙ্কালীতলা। বীরভূমের এই জায়গায়, কথিত আছে, বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রে খণ্ডিত হয়ে সতীদেবীর কোমর বা কাঁকাল এসে পড়ে মন্দির-সংলগ্ন পবিত্র কুণ্ডে। শক্তিসাধকদের অতি প্রিয় স্থান এই পুণ্যভূমি।

| May 25, 2024, 12:36 PM IST

প্রসেনজিৎ মালাকার: সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম বোলপুরের কঙ্কালীতলা। শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে এই মন্দিরে সারা বছরই ভক্তের ঢল লক্ষ্য করা যায়। কথিত আছে, দেবী দাক্ষায়ণী সতীর দেহ বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রে ৫১ খণ্ডে খণ্ডিত হয়েছিল। তারই কাঁকাল এসে পড়ে মন্দির-সংলগ্ন পবিত্র কুণ্ডে। সেই থেকে এই জায়গার নাম কঙ্কালীতলা। আগে এই জায়গার নাম ছিল কাঞ্চী। 

1/7

কাঞ্চীদেশে গন্ডগোল

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হঠাৎই কঙ্কালীতলা মন্দিরে দেবীর প্রতিকৃতি ভেঙে পড়ে। কাচের টুকরোর আঘাতে আহত হন পুরোহিত। তার পরেই কাঞ্চীদেশ মন্দির কমিটি, কঙ্কালীমাতা ঠাকুরানী উন্নয়ন ট্রাস্ট ও কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে সিংহাসন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো প্রায় ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সেগুন কাঠ দিয়ে সিংহাসন তৈরি করা হয়েছে। সেই সিংহাসনে দেবীর প্রতিকৃতিও স্থাপন করা হয়েছে।   

2/7

চরণপ্রতিষ্ঠা

এদিন সকাল থেকে হোম-যজ্ঞ, ভোগ নিবেদন, আরতি, পূজার্চনার মধ্যদিয়ে দেবীর চরণ প্রতিষ্ঠা করা হল৷

3/7

কুণ্ডস্নান

পবিত্র কুণ্ডের স্নান করিয়ে সেই চর মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়।

4/7

চরণ স্পর্শ করে

শক্তিপীঠ তারাপীঠের আদলে ভক্তদের সুবিধার্থে এখানেও দেবীর চরণস্থাপন করা হল। করা হল, যাতে চরণ স্পর্শ করে পুজো দিতে পারেন ভক্তেরা। 

5/7

পবিত্র দিন

মন্দিরের সেবায়েত বাসুদেব চৌধুরী বলেন, "সতীর ৫১ পীঠের একটি এই কঙ্কালীতলা। যার আদি নাম ছিল কাঞ্চীদেশ। এই মন্দিরের পবিত্র কুণ্ডে মায়ের কাঁক পতিত আছে। ভক্তদের সুবিধার্থে আমরা এদিন সমস্ত রীতি মেনে মায়ের চরণ স্থাপন করলাম। এটি একটি পবিত্র দিন আমাদের কাছে।"

6/7

দিনভর পূজা

দিনভর পূজার্চনার মধ্যদিয়ে সতীপীঠের অন্যতম এই কঙ্কালীতলা মন্দিরে দেবীর চরণ প্রতিষ্ঠা করা হল। এতদিন এখানে দেবীর প্রতিকৃতি পূজিত হত। এবার প্রতিষ্ঠিত হল দেবীচরণ। 

7/7

সম্প্রীতি

কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মহম্মদ ওহিউদ্দিন, ওরফে মামন ওই পবিত্র কুণ্ড থেকে দেবীর চরণ মাথায় করে মন্দির পর্যন্ত নিয়ে যান। যা সম্প্রীতির অনন্য নজির।