খোঁজ মিলল যিশুর জন্মের ১৫০০ বছর আগের এক মধুপাত্রের!

Apr 26, 2021, 16:56 PM IST
1/8

ভারতীয় পুরাণে মধুর কথা আছে। মানে, ৪০০০-৫০০০ বছর আগেই মধু ব্যবহারের নজির ছিল উপমহাদেশে। কিন্তু এবারে মধু-বিষয়ে অবাক-করা খবর মিলল আফ্রিকা থেকে। 

2/8

৩৫০০ বছর পুরনো, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সব চেয়ে প্রাচীন মধুপাত্রের সন্ধান মিলল আফ্রিকা থেকে। এই খোঁজ পুরাতাত্ত্বিক মহলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। যিশুর জন্মের আগে খ্রিস্টপূর্ব আনুমানিক ১৫০০ সাল থেকে এই পাত্র ব্যবহার করা হত বলে জানিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। স্বাভাবিক ভাবেই যা বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন মধু সংগ্রহের কার্যকলাপের দিকেই ইঙ্গিত করছে।  

3/8

সম্প্রতি গ্যেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ব্রিটেনের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদদের সঙ্গে যৌথ ভাবে সন্ধান চালিয়ে এই মধুপাত্রের সন্ধান পেয়েছেন। আফ্রিকা মহাদেশ থেকে প্রাপ্ত এই মধুপাত্র নক সংস্কৃতির অংশ বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।   

4/8

বিশেষজ্ঞদের মতে এই নক সংস্কৃতির জন্ম আফ্রিকার নাইজেরিয়ায়। খ্রিস্টজন্মের আগে আনুমানিক ১৫০০ শতক থেকে এই সংস্কৃতি আফ্রিকা রয়েছে। এই নক সংস্কৃতি আফ্রিকার সাধারণ যুগের (Common Era) অংশ।এই যুগ ঐতিহাসিকদের কাছে পরিচিত মূলত প্রাচীন স্থাপত্যের জন্য। এই যুগের টেরাকোটা শিল্প বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধ। এবার সেই যুগেরই প্রাচীন মধুপাত্রের সন্ধান পেয়ে বিজ্ঞানীরা উল্লসিত।   

5/8

অনেকেই মনে করছেন, এই মধুপাত্রের সন্ধান আফ্রিকা সম্পর্কে অনেক নতুন ভাবনার দিগন্ত খুলে দেবে। গ্যেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার ব্রেউইং (Peter Breuing) একই কথা বলছিলেন। তিনি জানান, 'এই মধু সেই সময়ের মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাপন বা খাদ্যসংস্কৃতির অংশ ছিল, এ কথা ভাবতেই অবাক লাগে'।   

6/8

বিস্মিত কেবল প্রত্নতাত্ত্বিকেরাই নন। একই রকম বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপকেরাও। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুলি ডিউন (Julie Dunne) জানান, 'বায়োমলিকিউলার তথ্যসমূহের সঙ্গে নৃতাত্ত্বিক পরীক্ষা ও তথ্যাদির মিশ্রণ প্রমাণ করে, এই মধুর ব্যবহার হত আজ থেকে ৩৫০০ বছর আগে।   

7/8

 অধ্যাপক ক্যাথারিনা নিউম্যান (Katharina Neumann)জানান, 'সব চেয়ে প্রাচীন মৃৎপাত্রের নিদর্শন যা পাওয়া গিয়েছে তা এগারো হাজার বছর আগের। এখন আমরা বোঝার চেষ্টা করছি, সেটাও মোমের অবশিষ্টাংশ দিয়েই তৈরি কিনা।' 

8/8

বিজ্ঞানীরা এবার আফ্রিকার নক সংস্কৃতির মানুষজনের মধ্যে পশুপালনের অভ্যাস ছিল কি না, তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন।