ল্যানসেটের বিজ্ঞানীদের তালিকায় সম্প্রতি ঠাঁই পেয়েছেন এই বঙ্গললনাও! কেন জানেন?

Bangladesh | Senjuti Saha: ভৌগোলিক দিক থেকে তিনি বাংলাদেশের। নাম তাঁর সেঁজুতি সাহা। অণুজীববিজ্ঞানী তিনি। কিন্তু তাঁর যা অ্যাচিভমেন্ট, তাতে তিনি এখন আর শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নন, বৃহত্তর অর্থে তিনি বঙ্গের, তিনি বাঙালির।

| Dec 29, 2022, 22:06 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভৌগোলিক দিক থেকে তিনি বাংলাদেশের। নাম তাঁর সেঁজুতি সাহা। অণুজীববিজ্ঞানী তিনি। কিন্তু তাঁর যা অ্যাচিভমেন্ট, তাতে তিনি এখন আর শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নন, বৃহত্তর অর্থে তিনি বঙ্গের, তিনি বাঙালির। কী করেছেন সেঁজুতি? এবার বিশ্বের খ্যাতনামা বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেট বিশ্বের ১০ বিজ্ঞানীর যে প্রোফাইল প্রকাশ করেছে, তাতে তিনি ঠাঁই পেয়েছেন। ল্যানসেট-এ প্রোফাইল প্রকাশের পর সেঁজুতি সাহা বলেন-- ল্যানসেট আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি অবাক হয়েছিলাম এই ভেবে যে, ল্যানসেট আমাদের কাজ সম্পর্কে এতটা জানে! আমি খুব গর্বিত বোধ করছি যে, ল্যানসেট–এর মতো একটি জার্নাল একজন বাংলাদেশি বিজ্ঞানীকে নিয়ে একটি প্রোফাইল লিখেছে। এটি বিশ্বের কাছে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে!

1/6

অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা

মহিলা বিজ্ঞানীদের জন্য সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা।

2/6

শিশুবিজ্ঞানী

শিশুদের নিয়েও নিরন্তর কাজ করে যান সেঁজুতি! 

3/6

শিশুদের জন্য সক্রিয়

সেঁজুতির কাজ শুধু শিশুদের রোগ থেকে রক্ষা নয়, শিশুদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলার জন্যও তিনি অক্লান্ত।  

4/6

দিশা

সেঁজুতির কাজ দেখে খুদেদের বাবা-মায়েরাও আপ্লুত। তাঁরা তাঁকে চিঠিও লেখেন। এমন এক চিঠি সেঁজুতিকে নিয়ে ল্যানসেট–এর লেখাতেও উঠে এসেছে। যেখানে অভিভাবকেরা লিখেছেন, ‘আমাদের সন্তানেরা বিজ্ঞানী হোক, এটা চাই। আমরা কখনো ভাবিনি, এটা একটা পেশা হতে পারে। কারণ, আমরা কোনো দিন বিজ্ঞানী দেখিনি। সত্যি বলতে কি, কোনো মহিলা বিজ্ঞানী দেখিনি!’

5/6

সব বিজ্ঞানী একসঙ্গে দেশের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে

সেঁজুতি বলেন, ‘এখন অনুভব করছি, দেশের প্রতি আমার দায়িত্ব আরও বাড়ল। এখন এই ভাবমূর্তিকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। আর সেজন্য আশা করি, আমরা সব বিজ্ঞানী একসঙ্গে দেশের জন্য কাজ চালিয়ে যাব।’

6/6

নিরন্তর গবেষণায়

ল্যানসেট তাঁর সম্পর্কে লিখছে-- ‘তিনি বিশ্বস্বাস্থ্যের গবেষণা নিয়ে সমতার পক্ষে সব সময়ে গলা তোলেন। সেঁজুতি এবং তাঁর দল মিলে জীবাণুর জিনোম সিকোয়েন্সিং কিংবা ভাইরাসের গবেষণায় রত থাকেন। বাংলাদেশের শিশুদের আক্রান্ত করে এমন রোগ, যেমন ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া নিয়ে তাঁদের গবেষণা অব্যাহত।’