Durga Puja Special Tips: উৎসবের নানা ওঠাপড়া যেন গায়ে না লাগে! শরীর-মন তাজা রাখার ডাক্তারি টিপস...

Durga Puja Special Tips: উৎসবের সময় আপনার জন্য সঠিক স্বাস্থ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে খুব বেশি সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করলে হতাশা সৃষ্টি হতে পারে, তবে আনন্দ ও স্বাস্থ্যের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়াই হল মূল বিষয়।

| Oct 02, 2024, 15:53 PM IST

ডাঃ বিবেক মোহন শর্মা, কনসালট্যান্ট - গ্যাস্ট্রো মেডিসিন, নারায়ণ হাসপাতাল, হাওড়া: উৎসবের মরসুমের আগমনে উৎসাহ ও উদ্দীপনা চারপাশে ভরে যায়। দুর্গাপূজার মতো উৎসবগুলি একত্রিত হওয়ার আনন্দ, মজার খাবারের সাথে উদযাপিত হয়, তবে এই সমস্ত উদ্দীপনার মাঝে আমাদের স্বাস্থ্যের কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়, বিশেষ করে হজমের ক্ষেত্রে। পরিবারের সঙ্গে উৎসব উদযাপন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে তার সঙ্গে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রলোভনজনক খাবার যখন চারপাশে থাকে, তখন স্বাস্থ্যকর হজম প্রক্রিয়া বজায় রাখা কঠিন হতে পারে। উৎসবের সময় আপনার জন্য সঠিক স্বাস্থ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে খুব বেশি সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করলে হতাশা সৃষ্টি হতে পারে, তবে আনন্দ ও স্বাস্থ্যের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়াই হল মূল বিষয়।

1/7

জল পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

জল পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

স্বাস্থ্য বজায় রাখার সবচেয়ে সহজ অথচ প্রায়ই উপেক্ষিত দিকগুলির মধ্যে একটি হল জল পান। উৎসবের সময় আমরা প্রায়ই জল পান করতে ভুলে যাই, বিশেষ করে যখন আমরা রাস্তার খাবার উপভোগ করি। - নিয়মিত জল পান করুন: প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল পান করার চেষ্টা করুন যাতে আপনার শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং হজম প্রক্রিয়া ঠিকমতো কাজ করে। - হার্বাল চা পান করুন: জলের পাশাপাশি আদা বা ক্যামোমাইলের মতো হার্বাল চা পান করতে পারেন, যা আপনার হজম প্রক্রিয়াকে শান্ত রাখতে এবং উন্নত করতে সহায়তা করবে। - চিনি যুক্ত পানীয় কম পান করুন: মিষ্টি পানীয় এবং সোডা প্রলুব্ধকর হলেও, এগুলি পাকস্থলীতে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। এগুলি কম পান করলে গ্যাস্ট্রিক ও হজমের সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে।  

2/7

নিয়মিত খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ

নিয়মিত খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ

উৎসবের সময় আমরা প্রায়ই ব্যস্ততায় বা বড় খাবারের অপেক্ষায় খাবার বাদ দিই। তবে, এটি পরে অতিরিক্ত খাওয়ার বা হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে। - নিয়মিত খাবার খান: নিয়মিত খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় থাকে এবং সমারোহের খাবারে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। - স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স নির্বাচন করুন: ফল, বাদাম বা অন্য স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স খান যা আপনার বিপাককে স্থির রাখবে এবং একবারে বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমাবে।

3/7

খাবারের প্রতি সজাগ থাকুন

খাবারের প্রতি সজাগ থাকুন

উৎসবের খাবার সুস্বাদু হতে পারে, কিন্তু প্রতিটি খাবার সবার হজমের জন্য উপযুক্ত নয়। নিজের শরীরের প্রতি মনোযোগ দিন এবং যে কোনও অস্বস্তির লক্ষণকে চিনতে শিখুন। - অস্বস্তি বুঝুন: যদি কোনও খাবার খাওয়ার পর গ্যাস্ট্রিক বা অস্বস্তি অনুভব করেন, তবে পরের বার তা এড়িয়ে চলুন। প্রত্যেকের হজম প্রক্রিয়া বিভিন্ন খাবারের প্রতি ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। - বিশ্রাম নিন: ভারী খাবারের পর শরীরকে বিশ্রাম দিন এবং হজমের জন্য কিছুটা সময় দিন, তারপর আরও খাবার খান।

4/7

মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন

মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন

উৎসব কেবল আনন্দই নিয়ে আসে না, কখনও কখনও মানসিক চাপও সৃষ্টি করে, যা হজমের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। উৎসবের সময় মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা আপনার সুস্থতার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। - বিশ্রাম করুন এবং উপভোগ করুন: খাবারের নির্বাচন নিয়ে বেশি চিন্তা করবেন না। খাবার নিয়ে উদ্বেগ হজমের সমস্যা বাড়াতে পারে। উদযাপন ও প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানোর মজায় মনোযোগ দিন।

5/7

স্ট্রিট ফুড খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন

স্ট্রিট ফুড খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন

দুর্গাপূজার মতো উৎসবে ফুচকা, চাট, নুডলসের মতো রাস্তায় পাওয়া খাবার খুবই প্রলুব্ধকর। তবে, স্বাস্থ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগুলি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। - খাবার খেয়ে বাইরে বের হন: উৎসবে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এটি আপনাকে জাঙ্ক ফুডের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ থেকে বাঁচাবে। - সাবধানী হন: রাস্তার খাবার খেলে তেল ও মশলার পরিমাণ কম এমন খাবার বেছে নিন এবং সবসময় টাটকা খাবার খান। - সবজি, ফল ও প্রোটিন যুক্ত করুন: উৎসবের স্ন্যাক্সের সাথে এমন খাবার খান যাতে সবজি, ফল এবং প্রোটিন থাকে, এতে আপনার খাবার প

6/7

শরীরচর্চার মাধ্যমে সক্রিয় থাকুন

শরীরচর্চার মাধ্যমে সক্রিয় থাকুন

উৎসবের সময় ব্যস্ততার মধ্যেও শরীরচর্চা করা গুরুত্বপূর্ণ। দৈনন্দিন শরীরচর্চা হজমে সহায়ক এবং শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। - প্রতিদিন ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা, যোগ বা হালকা ব্যায়াম করুন যাতে সুস্থতার ভারসাম্য বজায় থাকে।

7/7

পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য

পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য

উৎসবের রাতের দেরি এবং সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার মধ্যে, ঘুম প্রায়শই ব্যাহত হয়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব আপনার বিপাক এবং সামগ্রিক সুস্থতায় প্রভাব ফেলতে পারে। - পর্যাপ্ত ঘুমান: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন যাতে আপনার শরীর বিশ্রাম নিতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হতে পারে, যা উৎসব উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি দেবে।