World Oceans Day: ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে আর কেন ভেসে আসে না কোনও সংগীত?

World Oceans Day 2023: ১৯৯২ সালে ওশনস ইনস্টিটিউট অফ কানাডা প্রথম পরিবেশ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত আর্থ সামিটে গ্লোবাল ওশন ডে উদযাপনের প্রস্তাব দেয়। মহাসমুদ্র হল এ গ্রহের এক বিস্ময়। সেখানে লুকিয়ে কত রহস্য। সেই মহাসমুদ্রকে মনে করার দিন আজ। ৮ জুন 'বিশ্ব মহাসাগর দিবস'। কিন্তু এখন কি আর মহাসিন্ধুর ওপার থেকে সংগীত ভেসে আসে? ক্রমশ সমুদ্রের যে অবনতি হচ্ছে তা থেকে এই আশঙ্কা স্বাভাবিক। স্রোতের বদল না ঘটলে বদলাবে না প্রেক্ষাপট।

| Jun 08, 2023, 14:00 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, সমুদ্র এই গ্রহের ফুসফুস। কিন্তু ক্রমাগত দূষণ ও মানুষের নানা ভুল কাজকর্মের জেরে এ গ্রহের সমুদ্র-অঞ্চল আরও বেশি করে বিপন্নতার দিকে এগিয়ে চলেছে। আর এই বিষয়টিকে আটকাতেই সমুদ্রদিবসের ভাবনা। আজ ৮ জুন ওয়ার্ল্ড ওশনস ডে পালিত হয় বিশ্ব জুড়ে।

1/6

রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি

১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরো-তে সংঘটিত রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক (UNCED) সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মহাসাগর দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৮ সালে রাষ্ট্রসংঘ এই দিবসকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। 

2/6

'প্ল্যানেট ওশন: দ্য টাইডস আর চেঞ্জিং'

১৯৯২ সালে ওশনস ইনস্টিটিউট অফ কানাডা প্রথম পরিবেশ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত আর্থ সামিটে গ্লোবাল ওশন ডে উদযাপনের প্রস্তাব দেয়। এর ১৬ বছর পরে রাষ্ট্রসংঘ এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাশ করে এবং ৮ জুন দিনটিকে সমুদ্রদিবস হিসেবে নির্দিষ্ট করে। প্রতি বছরই এদিনটির একটি থিম থাকে। এ বছরের থিম-- 'প্ল্যানেট ওশন: দ্য টাইডস আর চেঞ্জিং'।

3/6

সমুদ্রের দশক

রাষ্ট্রসংঘ উল্লেখ করেছে, সমুদ্র বায়োস্ফিয়ারের বিশেষ অংশ, খাদ্য ওযুধের বিশ্বস্ত উৎস। এই বিশ্বের জীববৈচিত্রের অনেক ফ্লোরা ও ফনা সমুদ্রে নির্ভরশীল। সমুদ্র কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিবেশ-প্রকৃতিরও ক্ষতি হবে। ২০২১ থেকে ২০৩০ সাল এই দশ বছর হতে চলেছে UN Decade of Ocean Science for Sustainable Development।

4/6

সামুদ্রিক বিজ্ঞান

এই সময়-পর্বে লক্ষ্য থাকবে সামুদ্রিক বিজ্ঞানের এমন কিছু আবিষ্কার যা, সরাসরি মানবজীবনকে সমৃদ্ধ করবে, যা প্রত্যক্ষ ভাবে মানবসমাজের উপকারে আসবে। 

5/6

অক্সিজেনের ভাণ্ডার

মহাসাগরগুলি পৃথিবীর প্রায় ৭০ শতাংশ অক্সিজেন উৎপাদন করে। সমুদ্রের নীচে এমন অনেক সামুদ্রিক প্রজাতি বাস করে যারা এই অক্সিজেনের জোগান দেয়।

6/6

৭০ শতাংশেরও বেশি অংশ জুড়ে মহাসাগর

পৃথিবীর মোট ৭০ শতাংশেরও বেশি অংশ জুড়ে রয়েছে মহাসাগর। মহাসমুদ্র প্রতি পদে আশ্চর্য করে। যেমন, আমরা বিস্মিত হই জেনে যে, পৃথিবীর প্রায় ৯৪ শতাংশ প্রাণী প্রজাতি বাস করে সমুদ্রের নীচে! ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার অফ মেরিন স্পিসিসের মতে, এখনও পর্যন্ত সমুদ্রের প্রায় আড়াই লাখ প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে। আমরা আরও আশ্চর্য হই যখন জানতে পারি, পৃথিবীর বৃহত্তম পর্বতমালা রয়েছে সমুদ্রের নীচে! মধ্য-মহাসাগরীয় শৈলশিরা (Mid-Ocean Ridge),যা প্রায় ৬৫,০০০ কিলোমিটারের মতো দীর্ঘ, তা জলের নীচেই!