দিবাস্বপ্ন
তাপস কর্মকার
চলো যাই ঘুরে আসি
কাছে – পিঠে , কী – দূরে ।
আমলকী - হরিতকী
গ্রাম ছেড়ে সুদূরে ।
মোড়লরা ফাঁদে ফেলে
ঘর থেকে তাড়ালো ।
প্যাঁচে পড়ে জীবনটা
হয়ে গেল ঘোরালো ।
ভূতের রাজার বরে
শাপ – ই হল সুখবর ।
এক নয়, দুই নয়
তিন বর , জব্বর ।
খাওয়া – পরা যা খুশী ;
যত খুশী চাই গো ।
যেখানে সেখানে বসে
তা সবই , পাই গো ।
বাঘা ধরে বাজনা
গুপী গায় গান ।
যে শোনে , তার ধড়ে
থাকে না তো প্রাণ ।
আরও আছে সুখবর
ভূতের রাজার বর ।
জব্বর – জব্বর
তি – ন ন – ম্ব – র ।
এ বর , এমন বর
ঘোরা ফেরা জলভাত ।
জায়গার নাম বলো
পরে জুতো একসাথ ।
এর হাতে – ওর হাতে
দিলে প’রে তালি ।
যেথা খুশী সেথা
যাও, কুলু বা মানালি ।
এই ভেবে , জুতো খুঁজি
পরে নেব ঝট্ পট্ ।
কেউ - কিছু , বোঝার
আগে ; হয়ে যাবো চম্পট ।
জুতো খুঁজি , জুতো খুঁজি
খুঁজে আর , পাই না ।
ঘেমে নেয়ে একসা
ঘোরা আর চাই না ।
আসলে ছিলাম ঘুমে
খেয়ে দেয়ে দুপুরে ।
জেগে দেখি , এ কী কাণ্ড !
জুতো খায় কুকুরে ।
যাওয়া আর হল না ভাই
কাছে – পিঠে , কি দূরে ।।