Kalyan Chaubey : বাইচুংয়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন, বলছেন এআইএফএফ সভাপতি
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কুর্সিতে উঠে পড়েছেন গত সপ্তাহেই। দিল্লিতে প্রাথমিক কাজকর্ম ও পরিকল্পনা সাজিয়ে সোমবার বিকেলে কলকাতা ফিরলেন এআইএফএফ-এর নতুন প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে।
দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কুর্সিতে উঠে পড়েছেন গত সপ্তাহেই। দিল্লিতে প্রাথমিক কাজকর্ম ও পরিকল্পনা সাজিয়ে সোমবার বিকেলে কলকাতা ফিরলেন এআইএফএফ-এর নতুন প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে। দীর্ঘদিন পরে এআইএফএফ সভাপতির পদে কলকাতার কোনও ফুটবল ব্যক্তিত্ব। আর সেই কল্যাণ চৌবেকে বরণ করে নিতে সোমবার দুপুর থেকেই ঢাক-ঢোল, জাতীয় পতাকা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। আনন্দে কেউ কেউ আবার শুরু করে দেন নাচও। সদ্য নির্বাচিত এআইএফএফ সভাপতিকে মালা দিয়ে সম্মানিত করতে হাজির ছিলেন আইএফএ প্রতিনিধিরাও। সেই ভিড় ঠেলে বিমানবন্দর ছাড়ার পথে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কল্যাণ। বলেন, 'এত মানুষের ভালবাসা ও সম্মান পেয়ে আমি আপ্লুত। এই প্রাপ্তি আমাকে আগামী দিনে ভারতীয় ফুটবলের স্বার্থে ভাল কাজ করতে প্রেরণা দেবে। গত কয়েক বছরে বাংলা থেকে জাতীয় দলে আগের মতো প্রতিনিধি দেখতে পাওয়া যায় না। সন্তোষ ট্রফিতেও বাংলা সাম্প্রতিক কয়েক বছরে চ্যাম্পিয়ন হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বাংলা থেকে প্রতিভা তুলে আনা ও কোনও ভাল ফুটবলার যাতে বঞ্চিত না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে চাই।'
ফেডারেশনের নির্বাচনে সভাপতি পদে কল্যাণের প্রতিদ্বন্দ্বী বাইচুং ভুটিয়া ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক প্রভাবের প্রসঙ্গে। নির্বাচনের আগেই তাঁকে নির্বাচন হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে কল্যাণ বলে দেন, 'যিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেছেন, তিনি গত পাঁচ বছরে ফেডারেশনে দুর্নীতির সময়ে কোথায় ছিলেন? তাঁর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। লোকসভা নির্বাচনের সময়ে যে রকম নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছ্বতা রাখা হয়, সে রকম স্বচ্ছ্বভাবেই এই নির্বাচন হয়েছে।' যোগ করেন, 'অনেকেই বলেছেন আমি গুজরাতের প্রতিনিধি। কথাটা ঠিক নয়। গোটা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিভা তুলে এনে ভারতীয় ফুটবলকে শক্তিশালী করাই আমাদের কাজ। সেখানে আইএম বিজয়ন, সাবির আলি-সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সব ফুটবল বিশেষজ্ঞদের নিয়েই আমরা কাজ করব।'
আরও পড়ুন ঃ Arshdeep Singh: ট্রোলই শক্তিশালী করবে সন্তানকে! সমালোচনায় ভাবিত নন অর্শদীপের বাবা-মা!
ফেডারেশনের বর্তমান সভাপতির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ কী? তিনি বলেন, 'ডুরান্ড কাপ শেষ হওয়ার পরে ১৯ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ফেডারেশনের কর্মসমিতির সভা ডেকেছি। প্রতিটি রাজ্য সংস্থার সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনা হবে। তার ভিত্তিতেই ঠিক হবে ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার রূপরেখা।'