Bhavina Patel, CWG 2022 : কাঁদলেও পরবর্তী টার্গেট জানিয়ে দিলেন ভাবিনাবেন প্যাটেল
শনিবার ফাইনালে নাইজেরিয়ান খেলোয়াড়কে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেন ভাবিনা। প্যারা টিটির ৩-৫ বিভাগের এর মহিলা সিঙ্গলসের এই ফাইনালে নাইজেরিয়ার ক্রিশ্চিয়ানা ইকপেওইয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ছিলেন ভাবিনাবেন প্যাটেল। প্রথম ও শেষ খেলায় নাইজেরিয়ান খেলোয়াড়টি সামান্য চ্যালেঞ্জ দিলেও, শেষ পর্যন্ত কোনও ম্যাচ জিতে নেন ভাবিনা। খেলার ফল ছিল ১২-১০, ১১-২, ১১-৯। এই জয়ের ফলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন ভারতের তারকা প্যারা টেবিল টেনিস তারকা।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বার্মিংহাম কমনওয়েলথে (Commonwealth Games 2022) সোনা জিতে কেঁদে ফেললেন ভাবিনাবেন প্যাটেল (Bhavina Patel)। এক বছর আগে টোকিও প্যারালিম্পিক্সে (Tokyo Paralympics) রুপো জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই টেবিল টেনিস (Table Tennis) খেলোয়াড়। এ বার আরও একধাপ এগিয়ে সোনা নিজের নামে লেখালেন বিশেষ ভাবে সক্ষম এই অ্যাথলিট। আর তাই সোনা জিতেই কাঁদলেন তিনি। পোডিয়ামে পদক নেওয়ার সময় বেজে উঠেছিল জাতীয় সঙ্গীত। ঠিক সেই সময় ভাবিনার দুই চোখ জলে ভরে উঠল।
ম্যাচের শেষে ভাবিনা বলেন, "ভাল পারফরম্যান্স করার কোনও শেষ নেই। কমনওয়েলথে সোনা জিতলেও, অলিম্পিক্সে সোনা এখনও অধরা। সেই লক্ষ্য ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সে পূরণ করতে হবে।" এরপরেই তিনি যোগ করেন, "আসলে জাতীয় সঙ্গীত শুবে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। তাই কেঁদে ফেলেছিলাম।"
— Soug (@sbg1936) August 6, 2022
আরও পড়ুন: CWG 2022: এলধোস পলদের হাত ধরে ইতিহাস গড়ল ভারতের অ্যাথলেটিক্স দল
আরও পড়ুন: Amit Panghal, CWG 2022 : অমিত, নীতুর হাত ধরে জোড়া সোনা ভারতের ঘরে
শনিবার ফাইনালে নাইজেরিয়ান খেলোয়াড়কে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেন ভাবিনা। প্যারা টিটির ৩-৫ বিভাগের এর মহিলা সিঙ্গলসের এই ফাইনালে নাইজেরিয়ার ক্রিশ্চিয়ানা ইকপেওইয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ছিলেন ভাবিনাবেন প্যাটেল। প্রথম ও শেষ খেলায় নাইজেরিয়ান খেলোয়াড়টি সামান্য চ্যালেঞ্জ দিলেও, শেষ পর্যন্ত কোনও ম্যাচ জিতে নেন ভাবিনা। খেলার ফল ছিল ১২-১০, ১১-২, ১১-৯। এই জয়ের ফলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন ভারতের তারকা প্যারা টেবিল টেনিস তারকা।
তবে জিতলেও নিজের মধ্যে আত্মতুষ্টি আনতে চাইছেন না তিনি। ভাবিনা বলেন, "একটা দিকে আমি খুশি ছিলাম। অন্যদিকে আমি বেশ নার্ভাস ছিলাম। সেই কারণেই আমি আমার ১০০% দিতে পারিনি। আমি এই পারফরম্যান্সে বেশ হতাশ। তবে পরবর্তী টুর্নামেন্টে আমি আমার খামতিগুলো শুধরে নেব। আমি নিজেকে মানসিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে জানি। এটা আমর প্রথম অভিজ্ঞতা ছিল। চাইনিজ প্রতিপক্ষ খুব ভাল খেলেছে। চিনের প্রতিপক্ষের বিপুল অভিজ্ঞতার সামনে আমি নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। আমি আমার ১০০% দেওয়ার চেষ্টা করেও পারিনি। যে পরিকল্পনা নিয়ে ফাইনালে নেমেছিলাম সেই অনুযায়ী খেলতে পারিনি। সোনাটা আমি অবশ্যই জিততে মরিয়া ছিলাম।"