কলঙ্কের যুবভারতী, প্রশ্নের মুখে পুলিস প্রশাসন
কালকে যুবভারতীর ক্ষত আজকেও সমান দগদগে। ফুটবলের কলঙ্কের মাঝেই প্রশ্ন উঠছে কালকের ম্যাচে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও। গতকাল কার্যত যুবভারতীর উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ পুলিস-প্রশাসন। এই রকম উত্তেজনার ম্যাচে আগে থেকে দর্শক নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থাই পুলিসের তরফ থেকে নেওয়া হয়নি। উঠছে এমনই অভিযোগ।
কালকে যুবভারতীর ক্ষত আজকেও সমান দগদগে। ফুটবলের কলঙ্কের মাঝেই প্রশ্ন উঠছে কালকের ম্যাচে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও। গতকাল কার্যত যুবভারতীর উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ পুলিস-প্রশাসন। এই রকম উত্তেজনার ম্যাচে আগে থেকে দর্শক নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থাই পুলিসের তরফ থেকে নেওয়া হয়নি। উঠছে এমনই অভিযোগ।
ফের একবার বড় ম্যাচ পরিচালনায় ব্যর্থ রাজ্যের পুলিস- প্রশাসন। রবিবারের বড় ম্যাচ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা ছিল চরমে। সেকারণে মাঠে প্রচুর পুলিসও মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু গ্যালারিতে বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় প্রায় কোনও ভূমিকাই নিতে পারেনি পুলিস। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। বড় ম্যাচ মোকাবিলায় কী আদৌ প্রস্তুত ছিল পুলিস? ইটবৃষ্টির পর লাঠি চালাতে শুরু করে পুলিস। কিছুক্ষণের মধ্যে গ্যালারি প্রায় ফাঁকা করে দেওয়া হয়। দর্শকদের লক্ষ্য করে পাল্টা ইট ছোড়ে পুলিসও। তাতে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। দর্শকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস যে ভঙ্গিমায় লাঠি চার্জ করেছে তাও যথেষ্ট নিন্দার দাবি রাখে। পুলিসের লাঠি চার্জে আহত হয়েছেন ১৬জন মোহনবাগান সমর্থক। তাঁদের মধ্যে কারও কারও চোট গুরুতর।
মাঠে যথেচ্ছ পরিমাণ নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও নিরাপত্তা যে বিন্দুমাত্র ছিল না, কালকের পরিত্যক্ত যুবভারতী তার জ্যান্ত প্রমাণ। কী ভাবে মাঠে দর্শকরা বাল্ব, বোতল, অস্ত্র নিয়ে অনায়াসে ঢুকে যেতে পারে প্রশ্ন উঠছে সে সব কিছু নিয়েই। শুধুতাই নয় গ্যালারিতে মজুত ছিল প্রচুর আতস বাজি, রড, বাঁশ। কোথা থেকেই বা আসে এত ইঁটের যোগান? এই সবই ম্যাচ শুরুর আগে তল্লাশির ক্ষেত্রেও পুলিস প্রশাসনের চরম গাফিলতিকে প্রমাণ করে। এক লাখ দর্শককে সামলাতে একজনও পুলিস উপস্থিত ছিলেন না গ্যালারিতে। এই রকম উত্তেজনার ম্যাচে যেখানে প্রতি ছত্রে প্রয়োজন ছিল কড়া নিরাপত্তার, সেখানে নুন্যতম হোমওয়ার্কটুকুর আভাস মেলেনি পুলিসের ভূমিকায়।
অবশ্য ম্যাচ নিরাপত্তাজনিত প্রশাসনিক গাফিলতির কথা মেনে নিতে চাননি ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিসের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল বলে দাবি করেছে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। যুবভারতীর ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।