ICC ODI World Cup 2023: 'যে কোনও হাই-প্রোফাইল ম্যাচের চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি'! জয়ের কাছে কৃতজ্ঞ স্নেহাশিস
Eden Gardens ready for any high profile game syas CAB predident Snehasish Ganguly: আসন্ন পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইডেন সেমিফাইনাল-সহ পাঁচটি ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে। মঙ্গল সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মুম্বইতে মঙ্গলবার আসন্ন বিশ্বকাপের (World Cup 2023) সূচি ঘোষিত হয়ে গিয়েছে। চলে এল আয়োজক দেশ ভারতেরও খেলার সম্পূর্ণ সূচি। রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং-এর বিশ্বকাপ সফর শুরু হচ্ছে আগামী ৮ অক্টোবর মহাশক্তিধর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। আইসিসি-র ১০ দলীয় শোপিস ইভেন্ট চলবে অক্টোবর-নভেম্বর মাস জুড়ে। সূচি ঘোষণার সঙ্গেই কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য সুসংবাদ চলে এসেছে। এক সেমিফাইনাল-সহ বিশ্বকাপের পাঁচ ম্যাচ পেয়েছে কলকাতা। সূচি ঘোষণার দিনই ইডেনে সাংবাদিক বৈঠক করেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehasish Ganguly)। বৈঠকে ছিলেন সিএবি সচিব নরেশ ওঝা (Naresh Ojha) ও যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস (Debabrata Das)। সাংবাদিক বৈঠকের স্নেহাশিসের বক্তব্যের নির্বাচিত অংশ তুলে দেওয়া হল এই প্রতিবেদনে।
বিসিসিআই সচিবকে বারবার ধন্যবাদ দিলেন স্নেহাশিস
'সবার আগে আমি বিসিসিআই সচিব মিস্টার জয় শাহকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা সবাই জানি যে, ইডেন গার্ডেন্স ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম। অতীতেও আমরা হাই-প্রোফাইল ম্যাচের আয়োজন করেছি। এবারও একই কাজ করার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। উইমেন'স প্রিমিয়র লিগ চলাকালীন, আমার সঙ্গে যখন জয়ের দেখা হয়েছিল, আমি তাঁকে নিশ্চিত করেছিলাম ইডেনের অসাধারণ সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে। জানাই যে, ইডেনের সংস্কার ও আপগ্রেডেশনের কাজ চলছে। আমি জয়কে আস্বস্ত করেছিলাম যে, এই কাজ বিশ্বকাপের আগেই শেষ হয়ে যাবে। এমনকী আমি জয়কে ডিজাইনও দেখিয়ে ছিলাম। কীভাবে স্টেডিয়ামের অংশ বিশেষ আমরা রিমডেল করছি, সেসব বলেছিলাম। জয় আমাদের কাজ দেখে খুশি হয়েছিলেন। নিশ্চিত করেছিলেন যে, ইডেন বড় এবং হাই-প্রোফাইল ম্যাচই পাবে। আমি আবারও জয়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই।'
ইডেনে ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান ম্য়াচের প্রসঙ্গে
'অতীতে আমরা পাকিস্তান ম্যাচের আয়োজন করেছি। নতুন কিছু নয়। আমরা যে কোনও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাজি। আমাদের সেরাটাই উজাড় করে দেব। ইডেনের সুযোগ সুবিধা বিশ্বমানের করার জন্য সব করব।'
ইডেনে ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনাল হওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে
'ইডেনে যদি ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনাল হয়, তাহলে তা দারুণ সফল হবে। আমাদের যে কোনও বড় ম্যাচ দেওয়া হলে, আমরা তা আয়োজন করতে প্রস্তুত। নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। কলকাতা পুলিস দেশের অন্যতম সেরা। এর পাশাপাশি আমরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর টিমের কথা বলব। সবসময় আমাদের সব প্রচেষ্টায় পূর্ণ সমর্থন পাই।'
আরও পড়ুন: IND vs PAK | ICC ODI World Cup 2023: ইডেনে গার্ডেন্সে ভারত বনাম পাকিস্তান! চলে এল তোলপাড় করা আপডেট
লক্ষ্মী ও কালী পুজোয় বড় বড় ম্য়াচ (বাংলাদেশ বনাম কোয়ালিফায়ার ও ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান)। এটা কি বাড়তি চাপ হবে?
'ফেস্টিভ মুডকে আরও আকর্ষণীয় করবে। এটা কোনও সমস্যাই নয়। ইডেনের দর্শক অত্যন্ত শিক্ষিত। তারা ক্রিকেট ভালোবাসে।'
টিকিটের দাম কেমন হতে পারে?
'সবার সাধ্যের মধ্যেই টিকিটের দাম হবে। আমি চাই ফ্যানরা প্রচুর সংখ্যায় আসুক এবং স্ট্যান্ডগুলি ভরিয়ে দিক।'
আইসিসি ঘোষণা করে দিয়েছে যে, বিশ্বকাপের দু'টি সেমিফাইনাল হবে মুম্বই ও কলকাতায়। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পয়েন্ট টেবলের এক ও চার নম্বর দলের বিরুদ্ধে শেষ চারের লড়াই হবে। দুই এবং তিন নম্বর দলের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে ইডেন গার্ডেন্সে। আইসিসি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে যে, পাকিস্তান যদি সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করে যায়, তাহলে তারা কলকাতাতেই খেলবে, রাউন্ড-রবিন গ্রুপ পর্যায়ের শেষে তাদের অবস্থান যাই থাকুক না কেন! ভারত যদি শেষ চারে ওঠে, তাহলে তারা মুম্বইতে খেলবে, যদি না তারা পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়, তবে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা পড়লে, তাহলে ইডেনই দেখবে ভারত-পাক সেমিফাইনালের মহারণ। ১৬ নভেম্বর দ্বিতীয় সেমি ফাইনালের আসর বসবে ইডেনে। এর আগে, ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার সেমি ফাইনাল আয়োজিত হয়েছিল ইডেনে।
কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আরও সুখবর। দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ম্যাচ আয়োজন করার দায়িত্ব পেয়েছে ইডেন। যার মধ্যে পাকিস্তান দুটি ও বাংলাদেশ ইডেনে একটি ম্যাচ খেলবে। ২৮ অক্টোবর কোয়ালিফায়ার দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালরা। এরপর ৩১ অক্টোবর আয়োজিত হবে হাইভোল্টেজ পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ। এরপর ফের ১২ নভেম্বর ইডেনের বাইশ গজে নামবেন বাবর আজম -মহম্মদ রিজওয়ানরা। সেই ম্যাচে তাঁদের প্রতিপক্ষ গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালে শেষবার পাকিস্তান এসেছিল ভারতে। টি-২০ বিশ্বকাপে দুই দেশের খেলার কথা ছিল ধরমশালায়। কিন্তু পাকিস্তান নিরাপত্তা জনিত কারণে ভেন্যু পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ করেছিল আইসিসি-কে। এরপর ম্যাচ ধরমশালা থেকে কলকাতায় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়।