০-৫ হেরে অ্যাসেজে পুড়ে ছাই কুকের `কুশপুতুল জ্বলছে` ইংল্যান্ডের মিডিয়ায়
অ্যাসেজে পুরো পুড়ে ছাই হয়ে গেল ইংল্যান্ড। সিডনিতে অ্যাসেজের পঞ্চম টেস্টে হেরে মহালজ্জার ০-৫ ব্যবধানে সিরিজে শেষ করল আলিস্টার কুকের দল। সিডনিতে তৃতীয় দিনেই হোয়াইটওয়াশ হারের সিরিজ শেষ হয়ে গেল। মহালজ্জার অ্যাসেজের শেষ ইনিংসে ইংল্যান্ড শেষ হয়ে গেল মাত্র ৩১.৪ ওভারে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এই নিয়ে তিনবার অ্যাসেজে হোয়াইটওয়াশ হল ইংল্যান্ড। শেষবার ইংল্যান্ড ০-৫ অ্যাসেজে হেরেছিল ২০০৬-০৭। সেবার অসি অধিনায়ক ছিলেন রিকি পন্টিং আর ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ।
---------------------------------------------------
অস্ট্রেলিয়া-৩২৬, ২৭৬, ইংল্যান্ড ১৫৫, ১৬৬।
অ্যাসেজে পুরো পুড়ে ছাই হয়ে গেল ইংল্যান্ড। সিডনিতে অ্যাসেজের পঞ্চম টেস্টে হেরে মহালজ্জার ০-৫ ব্যবধানে সিরিজে শেষ করল আলিস্টার কুকের দল।
সিডনিতে তৃতীয় দিনেই হোয়াইটওয়াশ হারের সিরিজ শেষ হয়ে গেল। মহালজ্জার অ্যাসেজের শেষ ইনিংসে ইংল্যান্ড শেষ হয়ে গেল মাত্র ৩১.৪ ওভারে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এই নিয়ে তিনবার অ্যাসেজে হোয়াইটওয়াশ হল ইংল্যান্ড। শেষবার ইংল্যান্ড ০-৫ অ্যাসেজে হেরেছিল ২০০৬-০৭। সেবার অসি অধিনায়ক ছিলেন রিকি পন্টিং আর ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ।
০-৫ হারের ধাক্কায় আলিস্টার কুক যে অধিনায়কত্ব হারাচ্ছেন সেটা নিশ্চিত। এত বড় একটা হারের পর ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম কুককে কার্যত ছিঁড়ে খাচ্ছে।
আলিস্টার কুকরা যখন এবার ক্যাঙারুর দেশে এসেছিলেন, তখন তাঁদের কাছেই ছিল ঐতিহ্যের অ্যাসেজ ট্রফি। এমনকী কুকের দলকে অনেক বিশেষজ্ঞ অ্যাসেজ জয়ের ব্যাপারে এগিয়েও রেখে ছিলেন। কিন্তু সিরিজ শেষে দেখা গেল--
প্রথম টেস্ট ব্রিসবেন ৩৮১ রানে জয়ী অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় টেস্ট অ্যাডিলেডে ২১৮ রানে জয়ী অস্ট্রেলিয়া, পারথে তৃতীয় টেস্ট ১৫০ রানে জয়ী অস্ট্রেলিয়া, চতুর্থ টেস্ট মেলবোর্নে ৮ উইকেটে জয়ী অস্ট্রেলিয়া, পঞ্চম টেস্ট সিডনিতে অসিরা জয়ী ২৮১ রানে।
এবারের অ্যাসেজ সব দিক থেকেই নাটকীয় হয়ে থাকল। যে মিচেল জনসন দলে থাকবেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক হল তিনিই পাঁচ টেস্টে ৩৭ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হলেন। হারের ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে দুই ইংল্যান্ড ক্রিকেটার ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাস নিলেন। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের দেখে মনে হল তারা নেহাতই ক্লাবস্তরের। আর ভারতের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়া অস্ট্রেলিয়া একেবার পুরনো ঘাতক মেজাজে ফিরে এল।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৭৬ রানে৷ জয়ের জন্য ৪৪৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ফের ধসে যায় ইংলিশ টপ অর্ডার৷ হ্যারিস-জনসনদের দাপটে কার্যত ধরাশায়ী কুক ব্রিগেড৷
কারবেরি ও স্টুয়ার্ট ব্রড ছাড়া প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি কেউই৷ শেষ পর্যন্ত ১৬৬ রানে মুড়িয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস৷ এই ইনিংসেও অপ্রতিরোধ্য রায়ান হ্যারিস৷ ইংল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নেন একাই৷ ম্যান অফ দ্য ম্যাচও তিনিই।