Exclusive, Laxmi Ratan Shukla: বাংলার ঘরে 'লক্ষ্মীলাভ', কী বললেন নতুন বঙ্গ কোচ?
কয়েক বছর আগে অভিমানে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন। অবসর ঘোষণা করার জন্য ইডেন গার্ডেন্স নয়, বরং ঢিল ছোড়া দূরে মোহনবাগান ক্লাবকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধেবেলা আনুষ্ঠানিক ভাবে হেড কোচ হিসেবে সেই 'এল আর এস'-এর নাম ঘোষণা করল সিএবি।
দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
ওয়াসিম জাফর (Wasim Jaffer) থেকে শুরু করে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারদের (Andy Flower) নাম ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একটা সময় মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) অভিমন্যু ইশ্বরণদের (Abhiamanyu Eashwaran) হেড কোচ হিসেবে শোনা যাচ্ছিল এমন তারকাদের নাম। তবে শেষ পর্যন্ত 'ঘরের ছেলে' লক্ষ্মীরতন শুক্লার ( Laxmi Ratan Shukla) উপরেই ভরসা রাখল সিএবি (CAB)। তবে বঙ্গ ব্রিগেডের কোচিং স্টাফে রয়েছে বড় চমক। ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে ফের বাংলায় কামব্যাক করলেন ডব্লিউভি রমন (WV Raman)। সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করবেন সৌরাশিস লাহিড়ী (Sourasish Lahiri)। কয়েক বছর আগে অভিমানে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন। অবসর ঘোষণা করার জন্য ইডেন গার্ডেন্স নয়, বরং ঢিল ছোড়া দূরে মোহনবাগান ক্লাবকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধেবেলা আনুষ্ঠানিক ভাবে হেড কোচ হিসেবে সেই 'এল আর এস'-এর নাম ঘোষণা করল সিএবি। এরপরেই জি ২৪ ঘণ্টাকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন 'ফাইটার' লক্ষ্মী।
প্রশ্ন: কোচ হিসেবে নিযুক্ত হয়ে অনুভূতি কেমন?
লক্ষ্মী: অসাধারণ অনুভূতি। একটা সময় বাংলার অধিনায়কত্ব করেছি। এ বার কোচ হিসেবে কাজ শুরু করছি। সিএবি-র সব কর্তা ও বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমার কাছে একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। এই নতুন জার্নিকে উপভোগ করতে চাই। অনেক কাজের সুযোগ আছে। একইসঙ্গে আপনাদের মাধ্যমে আমার সব প্রাক্তন কোচ ও অধিনায়কদের ধন্যবাদ জানাই। এবং তাঁদের কাছ থেকে আশীর্বাদ চাইছি। যাতে দলকে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি।
প্রশ্ন: ১৯৮৯ সালে রঞ্জি ট্রফি জয়ের পর ট্রফি অধরা, আপনার জামানায় সুদিন ফিরে আসবে?
লক্ষ্মী: যারা আমাকে 'ফাইটার' ভাবেন তাঁদের অনেক ধন্যবাদ। আমি সব সময় সততার সঙ্গে কাজ করে এসেছি। এ বারও সেই নীতি নিয়েই কাজ করব। আমাদের দলে একাধিক ভাল ক্রিকেটার আছে। তারা গত দুই মরসুমে ভাল পারফরম্যান্স করেছে। তবে রঞ্জি জিততে হলে আমাদের আরও মরিয়া হয়ে লড়াই করতে হবে।
প্রশ্ন: মানে আপনি বলছেন এ বার স্বপ্ন সত্যি হবে?
লক্ষ্মী: খেলার সময় পুরো দম লাগিয়ে দিতাম। এ বারও সেটাই করব। তবে মাঠের বাইরে থেকে। আমি বিশ্বাস করি স্বপ্ন দেখতে। স্বপ্ন না দেখলে তো স্বপ্ন সত্যি হবে না। সবাইকে নতুন ভাবে স্বপ্ন দেখানোর জন্য আমি সাহায্য করব।
প্রশ্ন: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে?
লক্ষ্মী: অবশ্যই কথা হয়েছে। দাদির সঙ্গে প্রতিদিন কথা হয়। দাদি আমাকে আগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছে। দাদি চাইতেন যে আমি যেন আবার বাংলা ক্রিকেটে ফিরে আসি। আমি যেন এই দলের সঙ্গে যুক্ত থাকি। খেলোয়াড় জীবনে দাদি আমার উপর আস্থা রাখতেন। এখনও আমার উপর আস্থা রেখেছেন।
প্রশ্ন: এই বাংলা দলের পক্ষে রঞ্জি জয় করা সম্ভব?
লক্ষ্মী: সবার দ্বারা সব কিছু সম্ভব। ইচ্ছা থাকলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। আমি এটা বিশ্বাস করি। আর সেই বার্তা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।
প্রশ্ন: ছেলেদের নিয়ে কবে থেকে মাঠে নামছেন?
লক্ষ্মী: অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অনুশীলন শুরু করে দিতে চাই। যাতে কোনও খামতি না থাকে।
আরও পড়ুন: Laxmi Ratan Shukla: বাংলার নতুন কোচ লক্ষ্মী, ব্যাটিং পরামর্শদাতা ডব্লু ভি রমন