১১ সেকেন্ডে ১০০ মিটার! ট্রায়ালে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ রামেশ্বর গুর্জর
রামেশ্বরের প্রতিভা দেখে চমকে ওঠেন ক্রীড়ামন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মাত্র ১১ সেকেন্ডে ১০০ মিটার। প্রচন্ড গতিতে দৌড়ে বাজিমাত করে দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশের শিভপুরির রামেশ্বর গুর্জর। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান পোস্ট করেন রামেশ্বরের খালি পায়ে অবিশ্বাস্য গতিতে দৌড়ানোর ভিডিয়ো। নজরে আসেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুরও। রামেশ্বরকে ভোপালে এসে ট্রায়াল দিতে আর্জি করেন মধ্যপ্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী জীতু পাটওয়ানি। কিন্তু, ভোপালে ট্রায়ালে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলেন রামেশ্বর। ভোপালের টিটি স্টেডিয়ামের ট্রায়াল রানে ১২.৯ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ান তিনি।
তবে, ভিডিয়োর মতো ১১ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করতে না পারলেও দমছেন না রামেশ্বর। একাধিক কারণে এদিন তাঁর পারফরম্যান্স আশানুরূপ হয়নি বলে জানান তিনি। ট্রায়াল শেষে তিনি বলেন, "গ্রামে আমি খালি পায়ে দৌড়ে অভ্যস্ত। ফলে জুতো পরে দৌড়ানোর কারণে সময় বেশি লেগেছে।" শুধু তাই নয়, এদিন শারীরিকভাবে ১০০% ফিট ছিলেন না বলে জানান রামেশ্বর। পা ও পিঠের পেশিতে যন্ত্রণার কারণে এদিন তাঁর গতি কম ছিল বলে জানান তিনি।
আপাতত নিজেকে ফিট করে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দিতে চান বছর ১৯-এর রামেশ্বর। আগামী এক মাস ভোপালের অ্যাথলেটিক্স অ্যাকাডেমিতে কঠোর প্রশিক্ষণ নেবেন তিনি। তার পর পুনরায় ট্রায়াল দেওয়ার পরিকল্পনা তাঁর।
কয়েক দিন আগেই রামেশ্বরের ১১ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ের ভিডিয়ো দেখে চমকে গিয়েছে দুনিয়া। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নজরে আসে ভারতের উসেইন বোল্টের খালি পায়ে অবিশ্বাস্য গতিতে দৌড়ানোর ভিডিয়ো। এরপর টুইটারে ভিডিয়োটি পোস্ট করে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে দেখতে অনুরোধ করেন তিনি। রামেশ্বরের প্রতিভা দেখে চমকে ওঠেন ক্রীড়ামন্ত্রী। ভিডিয়ো দেখে রামেশ্বরকে তাঁর কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন রিজেজু।
আরও পড়ুন - স্টিভ স্মিথের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে হেলমেট নেক-গার্ড বাধ্যতামূলক করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া!
মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র-চম্বলের শিবপুরি জেলার শিকান্দরপুরের বাসিন্দা রামেশ্বর। দরিদ্র পরিবারে আর্থিক অনটনের কারণে ক্লাস টেনের পর পড়াশোনা হয়নি। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতাকে কখনও নিজের স্বপ্নের কাছে বাঁধা হতে দেননি রামেশ্বর। ছোট থেকেই গ্রামের অন্যান্য ছেলেদের চেয়ে দ্রুত গতিতে ছুটতে পারত সে। খালি পায়েই অভ্যাসের ফলে ধীরে ধীরে আরও বাড়ে গতি। গ্রামের মানুষও তাই তাঁর প্রশংসা করত। কিন্তু এর জেরেই যে এতটা খ্যাতি পাবেন তিনি, তা ভাবেনি গ্রামবাসী। সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে রামেশ্বর নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।