#ফ্ল্যাশব্যাক ২০১৬ : বছরের সেরা ৫ ভারতীয় ক্রীড়াবিদ
২০১৬ সালের সেরা ৫ জন ক্রীড়াবিদকে বাঁছতে গেলে অবশ্যই প্রথমে নাম আসবে, তাঁদের যাঁরা দেশকে পদক এনে দিয়েছেন খেলাধুলোর সেরা মঞ্চ অলিম্পিক থেকে। তাহলে প্রথম জন অবশ্যই পিভি সিন্ধু এবং দ্বিতীয়জন সাক্ষী মালিক। তিনি পদক আনতে পারেননি। কিন্তু পদকের থেকে কিছু কমও জেতেননি। জিতেছেন দেশের মানুষের মন। জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার। এই তিনজনকে বাদ দিলে আর অবশ্যই নাম করতে হবে দুজনের। একজন ভারতীয় ক্রিকেটের টেস্ট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং অন্যজন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তাই অল্প পরিসরে আলোচনা করে নিই এই পাঁচ ক্রীড়াবিদকে নিয়ে।
ওয়েব ডেস্ক: ২০১৬ সালের সেরা ৫ জন ক্রীড়াবিদকে বাঁছতে গেলে অবশ্যই প্রথমে নাম আসবে, তাঁদের যাঁরা দেশকে পদক এনে দিয়েছেন খেলাধুলোর সেরা মঞ্চ অলিম্পিক থেকে। তাহলে প্রথম জন অবশ্যই পিভি সিন্ধু এবং দ্বিতীয়জন সাক্ষী মালিক। তিনি পদক আনতে পারেননি। কিন্তু পদকের থেকে কিছু কমও জেতেননি। জিতেছেন দেশের মানুষের মন। জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার। এই তিনজনকে বাদ দিলে আর অবশ্যই নাম করতে হবে দুজনের। একজন ভারতীয় ক্রিকেটের টেস্ট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং অন্যজন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তাই অল্প পরিসরে আলোচনা করে নিই এই পাঁচ ক্রীড়াবিদকে নিয়ে।
১) পিভি সিন্ধু - লন্ডন অলিম্পিকের পর থেকেই ভারতীয় ব্যাডমিন্টন মানেই সানিয়া নেহওয়াল। স্বাভাবিকও সেটাই। কিন্তু সেই সাইনা নেহওয়াল এবারের রিও অলিম্পিকে পদক জিততে পারেননি। হাল ছাড়েননি সাইনার সতীর্থ সিন্ধু। দেশকে এনে দিয়েছেন অলিম্পিকের মঞ্চ থেকে রুপোর পদক। প্রকাশ পাড়ুকোন, পুলেল্লা গোপীচাঁদ, সাইনা নেহওয়ালের পর ভারতীয় ব্যাডমিন্টন ঠিক পথেই এগোচ্ছে। কারণ, ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের ব্যাটন তো এখন পিভি সিন্ধুর হাতে।
২) সাক্ষী মালিক - কুস্তি তো এদেশে একেবারেই পুরুষদের খেলা। শুধু এ দেশেই বা কেন? বিশ্বের অনেক দেশেই কুস্তিটা একেবারেই পুরুষদের খেলা।কিন্তু সাক্ষী মালিক যে অন্য ধাতুতে গড়া। তাই কুস্তি লড়ে গিয়েছেন। শুধু খেলার জন্য খেলা নয়, জেতার জন্য খেলা। দেশকে গর্বিত করার জন্য খেলা। তাই তো শেষ পর্যন্ত জয় পেলেন তিনি। রিও অলিম্পিকের মঞ্চ থেকে কুস্তির রিং থেকে এনে দিলেন ব্রোঞ্জ পদক। ২০১৬-র খেলাধুলোর বিচার করতে বসলে, সাক্ষী মালিকের নামে একটা জায়গা যে আপনাকে রাখতেই হবে।
৩) দীপা কর্মকার - জিমন্যাস্টিক এ দেশের মানুষদের খুব পছন্দের খেলা। কিন্তু সেটা শুধুই দেখার জন্য। খেলার জন্য নয়। নিজে খেলবো না। আর বাড়ির মেয়েকে তো খেলতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না! কিন্তু দীপারা জন্মান, সব প্রথা ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য। তাই না ত্রিপুরার মতো রাজ্য থেকে তাঁর এই আশ্চর্যকরা পারফরম্যান্স! রোমানিয়া, রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের প্রতিযোগীদের পিছনে ফেলে একের পর এক বাধা টপকে এগিয়ে গিয়েছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত একটুর জন্য আর পদক জিততে পারেননি তিনি। ফিরতে হয়েছে পদকছাড়া। কিন্তু মানুষ তাঁকে রেখেছে মনের ভিতর। আশা, পরের অলিম্পিকে ঠিক পদক আনবেন দীপা।
৪) বিরাট কোহলি - সচিন তেন্ডুলকর খেলা ছাড়ার পর এ দেশের ক্রিকেটের হাল ধরবেন কে? দু'-তিন বছর আগে এই প্রশ্নটাই ছিল, এ দেশের আপামর ক্রিকেটপ্রেমীর। কিন্তু বিরাট কোহলি যেন মনে মনে বলেছিলেন, দেখবে দেখবে। সবাই দেখবে। কারণ, তিনি আছেন যে! আর চলতি বছরটা কী গেল বিরাট কোহলির! আইপিএলই হোক অথবা টেস্ট ক্রিকেট। দেশের হয়ে একদিনের ম্যাচেই হোক অথবা দেশের জার্সিতে টি২০ ম্যাচ। বিরাটের ব্যাটে রানের কোনও অভাব নেই। নিজে ব্যাটে রানের বন্যা বইয়েছেন। আবার অধিনায়ক হিসেবে দেশকে এনে দিয়েছেন একের পর এক ম্যাচে এবং সিরিজে জয়। প্রতিপক্ষ কখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কখনও নিউজিল্যান্ড কখনও আবার ইংল্যান্ড। কিন্তু বিরাট কোহলি মানেই ২০১৬-তে ছিল সাফল্য!
৫) সুনীল ছেত্রী - আজ থেকে এক যুগ আগে যখন ধীরে ধীরে ভারতীয় ফুটবলের মূলস্রোতে নিজেকে চেনানো শুরু করেছিলেন, তখন কত লোকে কত কথা বলেছিল। উচ্চতা কম। এই উচ্চতা নিয়ে আর যাই হোক, আন্তর্জাতিক ফুটবলে সাফল্য পাওয়া যায় না। কিন্তু যত দিন এগিয়েছে, তত সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করে গিয়েছেন সুনীল ছেত্রী। আর আজ ভারতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবথেকে বেশি গোলের মালিকের নাম কিনা সেই সুনীল ছেত্রীই! ২০১৬-তেও তিনি বেঙ্গালুরু এফ সি-ই হোক, অথবা দেশের জার্সিতে, কিংবা আইএসএলের মঞ্চে দুর্দান্ত খেল গিয়েছেন, সব ক্ষেত্রেই। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের আশা, আগামী বছরটাও একইরকম ভালো যাবে সুনীল ছেত্রীর।