উঠে যেতে পারে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-র নিয়ম, সব ধরনের নো বলে হবে ফ্রি হিট

Updated By: May 18, 2015, 09:13 PM IST
উঠে যেতে পারে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-র নিয়ম, সব ধরনের নো বলে হবে ফ্রি হিট

 

ওয়েব ডেস্ক: ওয়ানডে ফের আসতে চলেছে পরিবর্তন। টি টোয়েন্টি-র জনপ্রিয়তার চাপে কিছুটা কোণঠাসা ওয়ানডে ক্রিকেটকে বাঁচাতে আনা হচ্ছে কিছু নতুন নিয়ম। অনিল কুম্বলের নেতৃত্বে আইসিসি-র বিশেষ কমিটি ওয়ানডে ক্রিকেটে নতুন নিয়মের বিষয়ে যেসব প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সেগুলি এবার কার্যকর হতে চলেছে। যদিও আগামী মাসে বার্বাডোজে  এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাবে আইসিসি---এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী নতুন নিয়ম আসতে চলেছে ওয়ানডে ক্রিকেটে--

১) সব ধরণের নো বলের ক্ষেত্রেই হবে ফ্রি হিট-- এতদিন শুধু ওভারস্টেপ নো বল বা বোলারের পা লাইন পেরিয়ে ক্রিজে ঢুকে গেলে যে নো বল ডাকা হত তাতেই ফ্রি হিট দেওয়া হত ওয়ানডে ও টি২০-তে। উচ্চতা সংক্রান্ত বা ব্যাটসম্যানের কোমরের ওপর বল উঠলে যে নো বল ডাকা হয় সেক্ষেত্রে ফ্রি হিট হয় না। ফ্রি হিট বলে ব্যাটসম্যান আউট হন না (রান আউট ছাড়া)। আইসিসি দেখছে ফ্রি হিট বলে দর্শকদের মধ্যে আলাদ একটা উন্মাদনা তৈরি হয়। তাই ওয়ানডে, টি২০ তে সব ধরনের নো বলের ক্ষেত্রেই হবে ফ্রি হিট।

২) ক্রিকেট কমিটি প্রথম ১০ ওভারে পাওয়ার প্লের সময় কাছে দুই জন বাধ্যতামূলক ক্লোজ ফিল্ডার বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এছাড়া শেষ ১০ ওভারে ত্রিশ গজের বাইরে সর্বোচ্চ পাঁচ জন ফিল্ডার রাখারও সুপারিশ করেছে অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটি। এই সুপারিশ অনুমোদন পেলে প্রথম ১০ ওভারে সর্বোচ্চ দুই জন খেলোয়াড় ত্রিশ গজের বাইরে থাকতে পারবেন। পরের ৩০ ওভারে সর্বোচ্চ চার জন খেলোয়াড় এবং শেষ ১০ ওভারে সর্বোচ্চ পাঁচ জন ত্রিশ গজের বাইরে থাকতে পারবেন।

৩) ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-র নিয়ম উঠে যাচ্ছে--ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-এর নিয়ম উঠে যাচ্ছে। কারণ ব্যাটিং পাওয়ার প্লে খেলায় আলাদা কোনও উত্তেজনা আনতে পারছে না। আইসিসি মনে করেছিল ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে খেলায় আলাদা গতি আসবে

৪) ইনিংসের শেষ দশ ওভারে কেবলমাত্র ৫ জন ত্রিশ গজ বৃত্তের বাইরে থাকবেন--শেষ ১০ ওভারে সর্বোচ্চ পাঁচ জন ত্রিশ গজের বাইরে থাকতে পারবেন।

ক্রিকেট কমিটি জানায়, টেস্ট ক্রিকেট পাঁচ দিন থেকে কমিয়ে চার দিনে আনার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ নিয়েও আলোচনা করেন তারা।
 
আগামী ২২ থেকে ২৬ জুন আইসিসি বার্ষিক সাধারণ সভায় ক্রিকেট কমিটির সুপারিশগুলো বিবেচনা করবে আইসিসি।

.