IND vs PAK, BCCI vs PCB: এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে বয়কট করা নিয়ে জয় শাহের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ওয়াসিম আক্রম
IND vs PAK, BCCI vs PCB: এশিয়া কাপ খেলতে বিরাট কোহলি-কেএল রাহুলরা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের দেশে না গেলে, পাকিস্তান ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসবে না। সেটা নিয়েই আগে হুমকি দিয়ে রেখেছে পিসিবি।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) বনাম বাবর আজমের (Babar Azam) লড়াই শুরু হতে এখনও কয়েক ঘণ্টা বাকি। তবে ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে (Asia Cup 2023) পাকিস্তানকে (Pakistan) বয়কট করা নিয়ে কাজিয়া বেড়েই চলেছে। টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রতিবেশী দেশে পা না রাখা নিয়ে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই (BCCI) ও পিসিবি-র (PCB) মধ্যে ঝামেলা তুঙ্গে। এবং গত ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সেই কাজিয়া ছড়িয়ে পড়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যেও। আর তাই এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব তথা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (Asian Cricket Council) সভাপতি জয় শাহের (Jay Shah) বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন ওয়াসিম আক্রম (Wasim Akram)। 'সুলতান অফ সুইং'-এর মুখের গোলাগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে এখন ভাইরাল।
পাকিস্তানের একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রাক্তন পাক অধিনায়ক বলেন, 'একেবারে যোগ্য জবাব দিয়েছে পিসিবি। পাকিস্তান কীভাবে ক্রিকেট খেলবে, সেটা ভারত ঠিক করে দিতে পারে না। তাছাড়া পাকিস্তানে ১০-১৫ বছর পরে ক্রিকেট ফিরেছে। আমি একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার। একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে রাজনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে বিশেষ কিছু জানি না। তবে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা জরুরি। জয় শাহ, যদি আপনার এটা বলারই ছিল, তবে এর আগে আমাদের বোর্ড চেয়ারম্যান রামিজ রাজা-কে একবার ফোন করতে পারতেন। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠক ডাকতে পারতেন। সেখানে নিজের মতামত জানাতে পারতেন। সেটা নিয়ে আলোচনা হতো।' তিনি আরও করেন, 'পাকিস্তানকে এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সকলে মিলে। আপনি এভাবে একা বলে দিতে পারেন না যে, আমরা খেলতে যাব না।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
মঙ্গলবার বার্ষিক সাধারণ সভার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বোর্ড সচিব হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা জয় শাহ বলেছিলেন, 'আগামি বছরের এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ দেশে আয়োজিত হতে পারে। কারণ ভারতীয় দল পাকিস্তানে যাবে না।' বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও বোর্ড সচিবের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন। অনুরাগ বলেন, 'পাকিস্তানে খেলতে না যাওয়ার প্রসঙ্গ শুধু মাত্র ক্রিকেটের জন্য নয়। সেখানে নিরাপত্তার চিন্তা রয়েছে। তাই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেবে।'
এশিয়া কাপ খেলতে বিরাট কোহলি-কেএল রাহুলরা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের দেশে না গেলে, পাকিস্তান ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসবে না। সেটা নিয়েই আগে হুমকি দিয়ে রেখেছে পিসিবি। সেটা নিয়েও মুখ খুলেছেন অনুরাগ। বলেছেন, 'এটা বিসিসিআই-এর বিষয়। এটা নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের তরফে মন্তব্য করা হবে। ভারত খেলাধুলোর এমন একটা ভূমি, যেখানে একটা নয়, একাধিক বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী বছরও বিশ্বকাপ হবে। বিশ্বের সব দলই বিশ্বকাপে খেলতে আসবে। কারণ বর্তমানে কেউ কোনও ক্ষেত্রে ভারতের কথা ফেলতে পারে না। ভারত ছাড়া ক্রিকেট জগতের কী আছে? ক্রিকেট জগতে ভারতের বিশাল অবদান আছে। আগামী বছর দারুণভাবে ভারতে বিশ্বকাপের আয়োজন করা হবে এবং সেই বিশ্বকাপ ঐতিহাসিক হবে।'
— Pakistan Cricket (@TheRealPCB) October 19, 2022
এরপর থেকে ওয়াঘার অন্যপ্রান্ত থেকে কথার বর্ষণ চলছেই। পিসিবি-ও চুপ নেই। পাক বোর্ডের তরফ থেকেও একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। পিসিবি-র লেখা সেই বিবৃতিতে লেখা হয়েছিল, 'এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি জয় শাহ মঙ্গলবার একটি বক্তব্য করেছেন। সেখানে উনি বলেছেন আগামি বছর এশিয়া কাপ নিরপক্ষে ভেন্যুতে আয়োজিত হবে। তাঁর এই বক্তব্য আমাদের অবাক করেছে। একইসঙ্গে জয় শাহ-র মন্তব্য খুবই হতাশাজনক। উনি নিজের বক্তব্য সাংবাদিকদের সামনে রাখার আগে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও পিসিবি-র সঙ্গে আলোচনা করেননি। তাঁর এমন বক্তব্য ভবিষ্যতে বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। সেটা মনে রাখা উচিত। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের স্পিরিট মেনে চলা উচিত। সেটা মেনে চললে ভালো, নাহলে পাকিস্তান কিন্তু আগামি বছর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের মাটিতে পা দেবে না। এমনকি ২০২৪-২০৩১ পর্যন্ত ভারতে একাধিক আইসিসি ইভেন্ট রয়েছে। সেই ইভেন্টগুলোতেও খেলার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে।'
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৩ অক্টোবর 'মাদার অফ অল ব্যাটেল'। এর আগে মাঠের বাইরের তুমুল ঝামেলায় জড়িয়ে গেল বিসিসিআই ও পিসিবি। মঙ্গলবার বিসিসিআই-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে পাকিস্তানে গিয়ে এশিয়া কাপ খেলবে না ভারত। আর এরপর থেকেই শুরু হল নতুন বিতর্ক। যেটা থামার নামই নেই। বরং দুই দেশ থেকে কথার গোলাগুলি চলছেই।